সকল মেনু

কেশবপুরের অধিকাংশ ফার্মেসী সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত কোম্পনীর ঔষুধে সয়লাব

 যশোর (কেশবপুর) প্রতিনিধি: ফলে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারণা ও স্বাস্থ্য জটিলতার শিকার হচ্ছেন। কিছু অসাধু কালোবাজারী চক্র এই নিন্মমানের ওষুধ বিভিন্ন বাজারে গ্রাম্য ডাক্তারদের কাছে বিক্রি করছে। আর তারা অধিক মুনাফার লোভে সেই ঔষধ দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। তাই নিষিদ্ধ কোম্পনীর ঔষধ  বিক্রি বন্ধে কেশবপুর রিপ্রেজেনন্টেটিভ ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠণিক সম্পাদক শামীম আক্তার মুকুল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অঅফিসার বিষয়টি দ্রুত তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত ২০টি কোম্পানীর ওষুধ এক শ্রেণির কালোবাজারী ও অসৎ ব্যক্তিরা গ্রামাঞ্চলের পল্লী  চিকিৎসকরা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে নিরীহ রোগীদের ক্রয় করতে বাধ্য করছে। অথচ যারা এ গ্রেড  থেকে মান সম্মত ওষুধ কোম্পানীতে চাকুরী করছেন তাদের ওষুধ বাজারজাতকরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন। আর এ ধরনের ওষুধ বাজার জাত করছে ইউনিট ফার্মাাসিউটিক্যালস ও  কনকর্ড ফামাসিউটিক্যালস’র ভেজাল ঔষধ অবৈধভাবে বাজারজাত করার কারণে ও অধিক মোনাফা লোভী গ্রাম্য ডাক্তার ও ফার্মেসীগুলি সহজ সরল মানুষকে প্রতারিত করছে। যারা এই অবৈধ ব্যবসায় জড়িত অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে বাংলাদেশ কেমিষ্ট এ্যান্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি কেশবপুরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ধরনের কোন কাজের সাথে সমিতির কোন সংশি¬ষ্টতা নেই। যদি কেউ এ ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়েন দায়ভার তার নিজের। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমৃকর্তা শেখ আবু শাহিন সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। যারা এ ধরনের ওষুধ ফার্মেসিতে বিক্রি ও গুদামজাত করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top