সকল মেনু

বাংলাদেশ অবিলম্বে অভিন্ন ছয় নদীর পানি চুক্তির আলোচনা চায়

বাংলাদেশ-ভারত
বাংলাদেশ-ভারত

হটনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রবহমান ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তির আলোচনা দ্রুত শেষ করতে চায় সরকার। এই নদীগুলো হলো মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার। ইতোমধ্যে এই ছয় নদীর পানি বণ্টনের জন্য তথ্য-উপাত্তও বিনিময় করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা  হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘দু’দেশের ৫৪টি নদীর মধ্যে গঙ্গা চুক্তি ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিস্তা ও ফেনী নদীর চুক্তির আলোচনা শেষ হয়েছে। এখন স্বাক্ষরের জন্য তৈরি।’  তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে এ ছয়টি নদীর স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পানি বণ্টনের জন্য আলোচনা শুরু হয়। পাঁচটি বৈঠকে কাঠামো চুক্তির প্যারামিটার ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্যারামিটারের মধ্যে নদীর পানি অন্যদিকে প্রবাহিত করার কাঠামো, পানি পরিমাপের স্থানের বিষয়ও উল্লেখ আছে।’

জানা গেছে, এ ছয়টি নদীর মধ্যে একাধিক নদীর পানি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের  ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময়ে পানি বণ্টনের চুক্তি দ্রুত সম্পাদনের জন্য আলোচনা হয়।’ তিস্তা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টনের চুক্তি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে এ চুক্তিগুলো স্বাক্ষরের কথা থাকলেও ভারতের আপত্তির কারণে  সম্ভব হয়নি।

অববাহিকা ব্যবস্থাপনা

অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ছাড়াও বাংলাদেশ গোটা অঞ্চলের অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনা চায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন,  ‘২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময়ে একটি কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে অববাহিকা ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল।’ নরেন্দ্র মোদির সফরের সময়েও এ বিষয়টির উল্লেখ ছিল এবং এর কার্যক্রম চলছে বলেও তিনি জানান।

ওই কর্মকর্তা বলেন,  ‘গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্পের বিষয়ে বাংলাদেশ আগ্রহী। এর কারণ এ ব্যারাজের ফলে অববাহিকা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।’ তিনি বলেন, ‘গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্পের সমীক্ষার জন্য একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছে।  আশা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরের সময় এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মোট ৫৭টি অভিন্ন নদী আছে যার মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি বাংলাদেশে আসে। করে। এরমধ্যে ব্রক্ষপুত্র দিয়ে প্রবাহিত হয় ৬০ শতাংশ পানি, ৩০ শতাংশ গঙ্গা-পদ্মা নদী দিয়ে এবং বাকি ১০ শতাংশ অন্যান্য নদী দিয়ে। ১ হাজার ২০০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানির মধ্যে জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এ চার মাসে আসে ৮০০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি এবং অক্টোবর থেকে মে মাস এ আট মাসে আসে ৪০০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top