সকল মেনু

বান্দরবান মুক্ত দিবস আজ

07e7c16db932e5636a900f7f780f393f-5850abe5b46b4হটনিউজ২৪বিডি.কম : যোগযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বড় ধরনের কোনও যুদ্ধ হয়নি বান্দরবানে। তবে কিছু পাকিস্থানি সে সময় বান্দরবানে ঢুকে পড়ে। তারা শান্তি কমিটি গড়ে তোলে। স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকজন মিলে গড়ে তোলে রাজাকার বাহিনী। এই বাহিনী বালাঘাটার কাছে চড়ই পাড়া এলাকায় আলী আহম্মদ, কাশেম আলীসহ তিনজনকে হত্যা করে। এছাড়া কোর্ট দারগায় মনমহোন ভট্রাচার্য ও তার পাঁচ বছরের ছেলে রতনকেও মেঘলা এলাকায় নিয়ে হত্যা করে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতকানিয়া থেকে শহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল জেলার মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে যোগ দেন। সাতকানিয়ার কমান্ডার শামসুর রহমানের নেতৃত্বে আরও একটি দল অবস্থান নেয় পাহাড়ের ওপর সড়ক ও জনপথের রেস্ট হাউজে। চট্রগ্রামের কালুরঘাটে হামলার শিকার হয়ে ইপিআরের দুই সদস্যও বান্দরবানে আশ্রয় নেন।

মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্বে থানচি’র ইপিআর ক্যাম্পের পাকিস্থানি হাবিলদার কুতকুত খান ও এক বিহারীকে হত্যা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন স্থান থেকে পাকবাহিনীর সদস্যদের পিছু হটাতে থাকে। হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার-আলবদরদের ধরে ধরে শাস্তি দেওয়া হয়।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের কয়েকদিন আগে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় শান্তি কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যের মাথা ন্যাড়া করে বান্দরবান বাজার ঘুরিয়ে থানায় নিয়ে যায়।’

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বান্দরবান সদর উপজেলা কমান্ডার শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের কয়েকদিন আগে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের ক্যানাইজু পাড়া এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। সেখানে শহীদ হন অবাঙালি মুক্তিযোদ্ধা টিএম আলী। ওই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।’

সর্বশেষ ১৪ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় বান্দরবান। ওই দিন তখনকার মহুকুমা প্রশাসক আবদুর শাকুরের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী ও মুজিব বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা শহরের মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top