সকল মেনু

বিলুপ্ত ছিটমহলে স্কুল নির্মাণে ধীর গতি, ২০১৭ সালে ভর্তি অনিশ্চিত

5644955ee6eddb4ddd9f8f437c204760-584bb8c39e9baহটনিউজ২৪বিডি.কম : লালমনিরহাটের বিলুপ্ত ছিটমহলে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ ধীর গতিতে চলছে। এর ফলে ২০১৭ সালে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় দুটি, হাতীবান্ধা উপজেলায় দুটি ও পাটগ্রাম উপজেলায় ৫৫টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে কেবল পাটগ্রামের চারটি বিলুপ্ত ছিটমহলে সরকারিভাবে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি অর্থ বছর এসব বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণে পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলীর দফতর থেকে পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেওয়া হলেও ইট সংকটের কারণে কিছুটা বিলম্বে নির্মাণ কাজ শুরু হয় বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের বিলুপ্ত ছিটমহলে বাঁশকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বিলুপ্ত ছিটমহলে ভোটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লতামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পানিশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত পাটগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজুল আলম সরকার বলেন, ‘বিলুপ্ত ছিটমহলে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া এবং শিক্ষক বরাদ্দ না পাওয়ায় ২০১৭ সালে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে না।’ তবে ২০১৮ সালে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
এদিকে এলজিইডির পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘বিলুপ্ত ছিটমহলে নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের শেষ দিকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এসব বিদ্যালয় স্থাপনে জায়গা নির্বাচন, দরপত্র আহ্বান এবং ঠিকাদার নিয়োগ দিতে কিছুটা দেরি হয়। তাছাড়াও বর্ষা মৌসুম ও ইট সংকটের কারণে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, ‘পাটগ্রামে বিলুপ্ত ছিটমহলে চারটি নতুন প্রাথমিক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ জেলার আওতাধীন পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা ও সদর উপজেলায় বিলুপ্ত ছিটমহলে বিদ্যালয়ে যাওয়া উপযোগী শিক্ষার্থীদের জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীকে পাশের বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাতীবান্ধা উপজেলার বিলুপ্ত উত্তর গোতামারী ছিটমহলে এবং সদর উপজেলার বিলুপ্ত ভিতরকুটি ছিটমহলে ‘বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে ১৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রস্তাব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top