সকল মেনু

জয়িতা পুরস্কার পেলেন ক্রিকেটার সাব্বিরের মাসহ পাঁচ নারী

cf2551be52c6b80e87db4f0f011140aa-rajshahiহটনিউজ২৪বিডি.কম : সফল জননী হিসেবে জয়িতা পুরস্কার পেলেন বালিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা ও ক্রিকেটার সাব্বির হোসেনের মা হাজেরা খাতুন। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৫ নারীকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে বিভাগীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

রাজশাহীর যেসব নারীরা উষার আলো স্পর্শ করতে পেরেছেন তাদের মধ্যে থেকে পাঁচ নারীকে এবার জয়িতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গত চার বছর ধরে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর প্রতিটি জেলায় পাঁচ ক্যাটাগরিতে পাঁচজন নারীকে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।

এবার রাজশাহী থেকে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে পুরস্কার জিতলেন রাজশাহী নগরীর উপশহর এলাকার নারী উদ্যোক্তা উরসী মাহফিলা ফাতেহা। শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে পুরস্কার পেলেন মিয়াপাড়া এলাকার শিষরীন মাহবুবা। সফল জননী হিসেবে জয়িতা হলেন বালিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা ক্রিকেটার সাব্বির হোসেনের মা হাজেরা খাতুন। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা নারী হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন দাশপুকুর এলাকার শারমিন বেগম। আর সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় জয়িতা পুরস্কার জিতলেন নগরীর আসাম কলোনী এলাকার আঞ্জুমান আরা পারভীন।

ক্রিকেটার সাব্বিরের মা হাজেরা বেগম ঢাকায় থাকায় তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। তবে বাকি চার নারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জয়িতারা তাদের জীবন সংগ্রামের গল্প শোনান সবাইকে। এ সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে ওঠেন নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে জয়িতা হয়ে ওঠা শারমিন বেগম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আখতার জাহান বলেন, ‘বর্তমান সমাজেও অনেক নারী নির্যাতিত হচ্ছেন। নারীদের পেছনে রাখার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তাদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার। আর এ জন্যই জয়িতা পুরস্কার দিয়ে নারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।’

জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাহানাজ বেগম বলেন, ‘একজন সংগ্রামী অপ্রতিরোধ্য নারীর প্রতীকী নাম জয়িতা। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক জয়িতা। কেবল নিজের অদম্য ইচ্ছাকে সম্বল করে চরম প্রতিকূলতা জয় করে জয়িতারা তৃণমূল থেকে সবার অলক্ষ্যে সমাজে নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছেন। জয়িতারা বাংলাদেশের বাতিঘর। জয়িতাদের দেখে অন্য নারীরা অনুপ্রাণিত হবে। তখন ঘরে ঘরে জয়িতা সৃষ্টি হবে। আর তাহলেই বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে তার গন্তব্যে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আতাউল গণি, সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেনী ও জাতীয় মহিলা সংস্থার রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি মর্জিনা পারভীন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top