সকল মেনু

শরীয়তপুরের ইদ্রিস আলীর রায় আগামীকাল

tribunal_48622হটনিউজ২৪বিডি.কম : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শরীয়তপুরের পলাতক ইদ্রিস আলী সরদারের (৬৭) বিরুদ্ধে আগামীকাল সোমবার রায় ঘোষণা করবে ট্রাইব্যুনাল।

গত বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করে।

একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরীয়তপুর ও মাদারীপুর এলাকায় গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ ও হিন্দুদের দেশান্তরে বাধ্য করার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের ৪ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই পলাতক আসামির বিরুদ্ধে।

ট্রাইব‌্যুনালের প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম জানান, রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা মামলাটি রবিবার কার্যতালিকায় এলে বিচারক রায় ঘোষণার দিন ঠিক করে দেন।

এর আগে প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ২ নভেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।

এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের সঙ্গে ঋষিকেশ সাহা ও রেজিয়া সুলতানা চমন শুনানিতে অংশ নেন। আর পলাতক আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসাবে শুনানি করেন গাজী এমএইচ তামিম।

এ মামলায় গ্রেফতার অপর আসামি মাওলানা সোলায়মান মোল্যা ওরফে সোলায়মান মৌলভী গত ২৫ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

চলতি বছর ২ মে যুদ্ধাপরাধের চার ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ইদ্রিস ও সোলায়মানের বিচার শুরু করেছিল ট্রাইব্যুনাল।

রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, যুক্তিতর্কে তারা আসামি ইদ্রিস আলীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন।

ইদ্রিস আলীর বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের পালং থানার পশ্চিম কাশাভোগ গ্রামে। আর সোলায়মান মোল্যার বাড়ি একই ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে।

অভিযোগপত্রের তথ্যঅনুযায়ী, সোলায়মান মোল্যা ১৯৬৩ সালে মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং পরে পালং থানার সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়ে তিনি প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সোলায়মান মোল্যা তার নিজের এলাকায় শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠনে নেতৃত্ব দেন এবং যুদ্ধাপরাধ ঘটান বলে প্রসিকিউশনের অভিযোগ।

অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ইদ্রিস আলী ষাটের দশকে ছিলেন জামায়াতের তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের স্থানীয় নেতা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনিও রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন এবং যুদ্ধাপরাধ ঘটান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও তিনি জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন বলে তদন্ত সংস্থার ভাষ্য।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার স্বর্ণঘোষ গ্রামের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার ২০১০ সালের ১১ মে ইদ্রিস আলী ও সোলায়মান মোল্যাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের আদালতে মামলা করেন। ওই মামলা পরে পাঠানো হয় ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল অনুসন্ধান শেষে ইদ্রিস ও সোলায়মানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। গত বছর ২২ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নিয়ে চলতি বছর মে মাসে অভিযোগ গঠন করে। এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top