সকল মেনু

সন্তু লারমার আশঙ্কা পাহাড় আবার ফুঁসে উঠতে পারে

santo-larma_48346হটনিউজ ডেস্ক : পাহাড় আবার ফুঁসে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। ৩ পার্বত্য জেলায় শান্তি ফেরাতে ১৮ বছর আগে করা চুক্তির বাস্তবায়ন করেনি সরকার- এমন অভিযোগ তুলে তিনি এ আশঙ্কা প্রাকাশ করেন। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, এমন চলতে থাকলে পাহাড় আবার ফুঁসে উঠতে পারে। শান্তিচুক্তির ১৯ বছর পূর্তিতে আজ শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনায় বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত ১৯ বছরে বিশ্বাসভঙ্গের অনেক ঘটনা ঘটেছে, অনেক প্রতারণা করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় অংশ নেন ঐক্যন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যও। তিনি অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সইয়ের দিন সরাকর যে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে তাতে বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের সদস্য সারা হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নূর আহমেদ, আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিমন সিসিম প্রমুখ।
৩ পার্বত্য এলাকায় শ্বায়ত্বশাসনের দাবিতে অস্ত্র তুলে নেয়া জনসংহতি সমিতি সেনাবাহিনীর সঙ্গে শসস্ত্র সংঘাতে জড়ায় প্রায় দুই দশক। পরে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয় জনসংহতি সমিতির। ওই চুক্তিতে থাকা ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি সম্পূর্ণ এবং ১৫টি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দাবি করছে সরকার। তবে জনসংহতি সমিতির দাবি, বাস্তবায়ন হয়েছে কেবল ২৫টি।
আর চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে জনসংহতি সমিতি। সন্তু লারমা বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ে কাজ করব। সরকার যদি অস্ত্রের ভাষা ব্যবহার করে, অবদমনে তৎপর থাকে, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা এভাবে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। পার্র্বত এলাকার প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাজা দেবাশীষ রায় একটা সরকার, প্রতিমন্ত্রী নববিক্রম ত্রিপুরা একটা সরকার; বহুমুখী শাসনব্যবস্থা সেখানে। কে কার কথা শুনে কাজ করবে- সেটাই বোঝা যায় না।
পার্বত্য এলাকায় এখনও কার্যত সেনা শাসন চলছে বলেও অভিযোগ করেন জনসংহতি সমিতি। তার অভিযোগ, সেখানে  আইনশৃঙ্খলাসহ সব কর্মকা- চালায় সেনাবাহিনী। প্রশাসনের অসহযোগিতা আর আদিবাসীবিরোধী নীতির কারণে ওই এলাকার আদি বাসিন্দারা ক্রমশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে সন্তু লারমা বলেন, সরকার নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে জানান দিচ্ছে, ‘হয় দেশ ছেড়ে চলে যাও, নয়তো নতজানু হয়ে থাকো। রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ স্থাপনেরও বিরোধিতা করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top