সকল মেনু

পদত্যাগ করে আবারও জনসেবার সুযোগ চাইলেন আইভী

dd7ce0894702cb00ec61b2c1111e84d6-582b2713ac5c3হটনিউজ২৪বিডি.কম : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। পরে তিনি সিটি করপোরেশন থেকে তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান।

নগর ভবন থেকে বের হওয়ার আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন আইভী। তিনি বলেন, ‘জবাবদিহিতার মধ্যে গত ৫ বছরে আমি কাজ করেছি। আল্লাহকে হাজির নাজির রেখে আমি জনসেবা করেছি। আমি এক টাকাও দুর্নীতি করি নাই। সিটি করপোরেশনের অনেক উন্নয়ন হয়েছে জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। শতভাগ ট্যাক্স আদায় না হওয়াটা আমার ব্যর্থতা। ৬০ভাগ ট্যাক্স আদায় করা সম্ভব হয়েছে। আর আমি আমার সফলতা বলতে চাই না। আমি কী করেছি সেটি বিচার করবে জনগণ। গত ৫ বছরে ৬শ কোটি টাকার মত কাজ হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৩শ কোটি টাকার মত সরকার ও বাকি টাকা বিদেশি সংস্থার অনুদানে হয়েছে। তবে এখনও অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। আবার অনেক কাজ চলমান আছে। ৯ তলা বিশিষ্ট বহুতল নগর ভবন হচ্ছে। ২শ কোটি টাকা ব্যয়ে বাবুরাইলের খাল সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ চলমান আছে।’

আইভী বলেন, ‘গত ৫ বছর ও এর আগে পৌরসভার ৮ বছর এই ১২ বছরে আমি এক মুহূর্তের জন্যও থেমে থাকি নাই। আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র, অনেক অপপ্রচারের পরেও কাজ করেছি জনগণের কল্যাণে।’

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ঢাকাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠকে তিনি সবাইকে নৌকা প্রতীকে কাজ করতে বলেছেন। আমি আশাকরি সবাই এখন নৌকা প্রতীকেই আছেন। তবে আমি যখন এখানে ব্রিফিং করছি তখনো আমি মেয়র সেহেতু এখানে নেতাকর্মী আসাটা বোধগম্য না। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে যার মত কাজ করছে। আশা করছি অচিরেই সবাই ঐক্যবদ্ধ হবো।’

আচরণ বিধি লঙ্ঘনে বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইভী বলেন, ‘আমি কোনও আচরণ বিধি লঙ্ঘন করি নাই। এমন হতো আমি প্রচারণায় সরকারি গাড়ি কিংবা সিটি করপোরেশনের নগর ভবন ব্যবহার করেছি তাহলে সেটা লঙ্ঘন হতো। আর এখনোতো লেভেল প্লেয়িংয়ের সময় আসেনি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের পর এ ব্যাপারে কথা হবে।’

সবশেষ আইভী বলেন, ‘আমি বিগত দিনের কাজের মূল্যায়ন হিসেবে, আমার সততা হিসেবে আবারও নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জবাসীকে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন সেহেতু নারায়ণগঞ্জবাসীও সে প্রতীককে জয়ী করবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

আইভী জানান, তিনি বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। অচিরেই হয়তো এখানে কাউকে নিয়োগ দিতে পারে।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর ওই বছরের ১ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণ করে সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব শুরু করেন আইভী। এর আগে ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি বিলুপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

বিগত নির্বাচনের সময় মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশন গত ১৫ নভেম্বর একটি চিঠিতে জানিয়েছে হাইকোর্টে রিট থাকায় মেয়র পদে থেকে কোনও ব্যক্তি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক হলে অবশ্যই তাকে পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৪ নভেম্বর, বাছাই ২৬ ও ২৭ নভেম্বর আর প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ ডিসেম্বর। সবশেষ ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top