সকল মেনু

থানা আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের

2fee6519aedb4b6c15962bf16b0f2a57-582d93c9ce903হটনিউজ২৪বিডি.কম : অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের জন্য থানায় আক্রমণ করার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। নির্দিষ্ট থানায় কি পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ আছে এবং কার কখন ডিউটি বদল হয়, তা জানার জন্য এজেন্টও নিয়োগ করা হয়েছিল। থানায় আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেএমবির ‘সারোয়ার-তামিম’ গ্রুপের খুবই ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহের একটি মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. সোহেল রানাকে (২৩)। সে খাদেম, মোয়াজ্জিন, সোহেল ও শহীদুল্লাহ নামেও সাংগঠনিকভাবে পরিচিত।

বুধবার রাতে র‌্যাব-২ এর এক বিশেষ অভিযানে সোহেল রানাকে রাজধানীর আদাবরে মোহাম্মদিয়া ক্যাফে থেকে আটক করা হয়। এর আগে একই দিনে রাত ৮টায় এয়ারপোর্ট-রেলস্টেশন এলাকা থেকে মাওলানা আব্দুল হাকিম ও রাজীবুল ইসলামকে আটক করে র‌্যাব। তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, আদাবরের মোহাম্মাদিয়া ক্যাফে থেকে সোহেল রানা, গাজী কামরুস সালাম সোহান ও আবু সালেহকে আটক করা হয়।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, জেএমবির ‘সারোয়ার-তামিম’ গ্রুপের মৃত আমির সারোয়ার জাহানের খুবই বিশ্বাসী গুপ্তচর ছিল সোহেল রানা। সে ঝিনাইদহের একটি মসজিদের মোয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করতো। তার বাসস্থান ও কর্মস্থল ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের ‘সেফ হাউজ’। সোহেলের তত্ত্বাবধানেই বিভিন্ন বৈঠক হতো। এসকল বৈঠকে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতো সে।

আটক হওয়ার পর র‌্যাবকে দেওয়া তথ্য মতে, তার বাসায় মৃত সারোয়ার জাহানের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়েছিল। এতে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র ছাড়াও র‌্যাবের হাতে আটক রাজীবুল ইসলামও উপস্থিত ছিল। সেই বৈঠকেই একটি থানায় হামলার পরিকল্পনা করা হয়। হামলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে থানার সকল তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয় সোহেল রানাকে।

আক্রমণের লক্ষ্যে সোহেল রানা থানার ভেতরে একজন এজেন্ট নিয়োগ করে। সেই এজেন্টের মাধ্যমে থানায় কতজন পুলিশ সদস্য থাকেন, কার কখন ডিউটি পরিবর্তন হয়, কি পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ মজুদ আছে, সেসব তথ্য গোপনে সংগ্রহ করে রাখা হয়। তবে কোন থানা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল, তা নিরাপত্তার কারণে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এছাড়া, আরও জানা গেছে, ‘সারোয়ার-তামিম’ গ্রুপের সারোয়ার বিভিন্ন জায়গায় গোপন নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি সোহেলকে পাঠাতো। পরবর্তীতে সেগুলো নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করত সোহেল।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে জঙ্গিবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয় মো. সোহেল রানা ওরফে শহীদুল্লাহ। ২০১৫ সালে ‘সারোয়ার-তামিম’ গ্রুপের জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত হয় সে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top