সকল মেনু

ভারতে দাউদ মার্চেন্টকে হস্তান্তর: দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন

 daud-merchant_44238হটনিউজ ডেস্ক : দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী হিসেবে পরিচিত আবদুর রউফ মার্চেন্ট ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুসহ দেশটির একাধিক গণমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ঢাকা কারাগার থেকে পাঁচ দিন আগে মুক্তি পাওয়া দাউদ মার্চেন্টকে মুম্বাই হাই কোর্টে হাজির করা হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের যুগ্ম কমিশনার সঞ্জয় সাক্সেনাকে উদ্ধৃত করে ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুর ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলশান কুমার হত্যা মামলার এই দণ্ডিত আসামিকে গত বুধবার মেঘালয় সীমান্তে বিএসএফের কাছ থেকে বুঝে পায় পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার তাকে মুম্বাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশের দায়ে দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। গত সপ্তাহে কারাগার থেকে ছাড়া পান। দাউদ মার্চেন্টকে দেশে ফেরাতে অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলছে ভারত। ভারতের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দাউদ মার্চেন্টকে মেঘালয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তুলে দেয়।

খবরে বলা হয়েছে, ইন্টারপোলের সহায়তায় সীমান্তে দাউদ মার্চেন্টের হস্তান্তর-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হচ্ছে, দাউদ মার্চেন্ট অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় বিএসএফের হাতে আটক হন।

উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেলে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর তার অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। দাউদ মার্চেন্ট মুম্বাইয়ের সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমার হত্যা মামলার আসামি এবং মাফিয়া ডন বলে পরিচিত দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী।

দাউদ মার্চেন্ট ভারতের মুম্বাইয়ের অপরাধ জগতের ‘ডন’ হিসেবে পরিচিত দাউদ ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিলের সহযোগী বলে এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁকে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়ার মতো ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে সাংবাদিকেরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দাউদ মার্চেন্টের সাজাভোগের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ‘পুশব্যাক-পুশইনের’ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top