সকল মেনু

আনুষ্ঠানিকতা শেষে এফটিএ স্বাক্ষর করবে শ্রীলঙ্কা: বাণিজ্যমন্ত্রী

1427a932fb629e4b8c692e35defaad98-5781e628e5003হটনিউজ২৪বিডি.কম : প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিমেন্ট, পেপারসহ বিভিন্ন পণ্য কমদামে রফতানি করা হবে শ্রীলঙ্কায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম দামে বাংলাদেশ এ সব পণ্য শ্রীলঙ্কায় রফতানি করতে সক্ষম। বুধবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় হোটেল সিন্ডমোন লেকসাইডে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা জয়েন্ট ইকনোমিক কমিশনের (জেএসি) ৫ম সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
শ্রীলঙ্কার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী রিশাদ বাথিউদ্দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ এফটিএ স্বাক্ষর হওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা এফটিএ স্বাক্ষর করতেই পারে। এতে দু‘দেশের বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পাবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আগামী ২০২১ সালে রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন রফতানি বাজার সৃষ্টির জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রফতানি বৃদ্ধির জন্য আইটি, ওষুধ, ফার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ ও কৃষিজাত পণ্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। অনেক পণ্য রফতানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এরফলে বাংলাদেশের রফতানি বাড়ছে। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত হওয়ায় বেশির ভাগ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। শ্রীলঙ্কাও এ সুবিধা দিলে বাণিজ্য বাড়বে এবং উভয়দেশ উপকৃত হবে।’

এছাড়া তোফায়েল আহমেদ শ্রীলঙ্কার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী রিশাদ বাথিউদ্দিন এবং শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী রাভি কারুনা নায়কের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার এফটিএ স্বাক্ষর এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির আহবান জানান। বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা এফটিএ স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করবে। এর ফলে শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশের অনেক পণ্যের রফতানি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রায় ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্য হচ্ছে। গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানি করেছে ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং একই সময়ে রফতানি করেছে ৩০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের ঘাটতি বাণিজ্য ১৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বাণিজ্য খুবই সামান্য। শ্রীলঙ্কার বাজারে তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিমেন্ট, কাগজ, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, পাটজাত পণ্যসহ বেশ কিছু বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শ্রীলঙ্কার বাজারে শুল্কমুক্তসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়া হলে রফতানি অনেক বাড়বে। বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে আসবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top