প্রদীপ কুমার সরকার, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের চাড়াইলদিয়া গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ বয়সের কথিত গ্রাম্য মাতুব্বরের লালসার শিকার হয়েছে হত দরিদ্র কিশোরী কন্যা। সরেজমিনে মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উক্ত গ্রামের কথিত গ্রাম্য মাতুব্বর কুদ্দুস মাতুব্বরের (৫৫) বাড়ীতে কাজ করত একই গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার হত দরিদ্র কিশোরী কন্যা (বিথী) (১৪)। পিতৃহীন হবার পর মা রওশনারা বিভিন্ন বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করত। কখনও ভিক্ষে করে ৪টি মেয়ে নিয়ে কোনরকমভাবে জীবন ধারণ করছে। উক্ত মাতুব্বরের বাড়ীতে কাজ করার সময় মেয়েটির উপর কুদ্দুস মাতুব্বরের কুদৃষ্টি পড়ে। এক পর্যায়ে সুযোগ পেয়ে মেয়েটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ভয়ভীতি ও লোভ দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মেয়েটির সাথে লালসা চরিতার্থ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ে। অন্ত:সত্তা হবার ৫ মাস অতিবাহিত হলে গ্রামের প্রতিবেশীরা প্রথমে কানাকানি অবশেষে বিষয়টি এলকায় জানাজানি হলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে উক্ত মাতুব্বরকে কিশোরীর মা রওশনারা বেগম এবং গ্রামের লোকজন চাপ প্রয়োগ করলে প্রভাবশালী মাতুব্বর ভয়ভীত ও পরিবারটিকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকী দিচ্ছে। এ ব্যপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য অলিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি সবই সত্য, তবে ঘটনাটির সাথে কে জড়িত আমি জানি না। এ ব্যপারে স্থানীয় তুজারপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ রশিদ নান্নু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যপারে অভিযুক্তকে নিয়ে মেয়েটির পরিবারের সম্মতিতে তাদের বাড়িতে সালিশ বৈঠকে বসবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মেয়েটি যেহেতু হত দরিদ্র এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরী। ৫ মাসের অন্ত:সত্তা অবস্থায় কি করা যায়, থানার ওসি ও টিএনওর সাথে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। স্থানীয় অভরিফ উদ্দিন বলেন, এই সমস্ত নরপশুদের উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিৎ। কিশোরীর মা রওশনারা বেগম বলেন, আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। এ ব্যপারে অভিযুক্ত কুদ্দুস মাতুব্বররের বাড়ীতে গিয়ে অনেক চেষ্টা করেও কোন পুরুষ সদস্যকে খুজে পাওয়া যায়নি। তবে তার দুই পুত্রবধু এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার শশুর দোষী নয়। টাকা পয়সার লোভের কারণে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যপারে ভাঙ্গা থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে উপয়ুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।