সকল মেনু

রায় বহাল : এমপিরা স্কুল-কলেজের সভাপতি নয়

court_43328হটনিউজ২৪বিডি.কম : এমপিরা স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভপতি হতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। আজ সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গত জুনে হাইকোর্ট রায় দেয়ার পর তা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল ভিকারুননিসা নূন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তা শুনে আপিল বিভাগ সে সময় ‘নো অর্ডার’ দেয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তখনই জানিয়েছিলেন, ‘নো অর্ডার’ হওয়ায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল চাওয়ার সুযোগ আছে এবং সেই সুযোগ তারা নেবেন।

লিভ টু আপিলও খারিজ হয়ে যাওয়ায় এখন কেবল রিভিউ চাওয়ার সুযোগ রয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ বা পক্ষভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে।
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ পরিচালনার জন্য গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বিশেষ কমিটি গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ চলতি বছর রিট আবেদনটি করেন। তার যুক্তি ছিল, ওই প্রবিধানমালার ৩৯ বিধান অনুসারে এডহক কমিটির মেয়াদ ছয় মাস। অথচ ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ এ পর্যন্ত চার বার এডহক ও দুই বার বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। এটি ৩৯ বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেয়। রুলে ওই কমিটি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

এরপর ২০০৯ সালের মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা এর ৫ ও ৫০ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সম্পূরক আবেদন করেন ইউনুছ আলী। বিধান ৫ তে গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনয়ন বিষয়ে এবং বিধান ৫০ বিশেষ ধরনের গভর্নিং বা ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়ে বলা আছে।
রিট আবেদনকারীর যুক্তি ছিল, ওই দুটি বিধান ১৯৬১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যাদেশের ৩৯(২)(৬) এবং সংবিধানের ১১, ২৬, ২৭, ৩১ ও ৬৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সম্পূরক এই আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই দুই বিধান বিষয়ে ৬ এপ্রিল আরেকটি রুল দেয় হাইকোর্ট। এসব রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৮ জুন বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেয়। রায়ে হাইকোর্ট আইনপ্রণেতাদের নিজের নিজের নির্বাচনী এলাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনীত হওয়ার বিধানটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে।

একই সঙ্গে ২০০৯ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালার বিশেষ কমিটি গঠনের ৫০ বিধানটিও সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়।

ভিকারুননিসা পরিচালনায় গঠিত বিশেষ কমিটি অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে নতুন করে এডহক কমিটি করে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে বলা হয় ওই রায়ে। হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে গেলে ১২ জুন তাতে ‘নো অর্ডার’ আসে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করলেও সর্বোচ্চ আদালতে তা নাকচ হয়ে গেল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top