সকল মেনু

বগুড়ায় বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

6400649dcd3edab2372d2d39545c0a26হটনিউজ২৪বিডি.কম : বগুড়ার ধুনটের নিত্তিপোতা গ্রামে এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর মা মামলা করেছেন। তবে পুলিশ এখনও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে, শাজাহানপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তিন বখাটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, বাকপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরী নিত্তিপোতা গ্রামের এক কাঠ মিস্ত্রির মেয়ে। মা ঝিয়ের কাজ করেন। গত ১ নভেম্বর সকালে মা ও মেয়ে গ্রামের নুর মোহাম্মদ বেনুর বাড়িতে কাজে যান। বেলা ১২টার দিকে মা জরুরি প্রয়োজনে কিশোরী মেয়েকে রেখে নিজ বাড়িতে ফেরেন। ওই বাড়িতে সেসময় কেউ না থাকায় দিনমজুর প্রতিবেশী রেজাউল করিম (৩৬) কিশোরীকে ধর্ষণ করে। গৃহকর্ত্রী টের পেয়ে চিৎকার দিলে রেজাউল করিম পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রামের মাতবররা মিমাংসার উদ্যোগ নেন। বুধবার রাত পর্যন্ত মিমাংসা না হওয়ায় নির্যাতিত কিশোরীর মা বৃহস্পতিবার সকালে ধুনট থানায় আসেন। তিনি ধর্ষণের অভিযোগে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ধুনট থানার ওসি (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই মেয়েকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এদিকে, বগুড়ার শাজাহানপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তিন বখাটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন।

আসামিরা হলো কাবাষট্টি গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে মুক্তার হোসেন, তার বন্ধু একই গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে সোহাগ ও ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আবু তোহা।

অভিযোগে জানা গেছে, মুক্তার হোসেন, সোহাগ ও আবু তোহা দীর্ঘদিন ধরে কাবাষট্টি দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

অভিভাবকদের কাছে নালিশ করলে তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। গত (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সপ্তম শ্রেণির তিন ছাত্রী কমনরুমে বসে গল্প করছিল। এ সময় ওই তিন বখাটে ধান কাটার কাঁচি হাতে সেখানে আসে। তারা দুই ছাত্রীকে বের করে দিয়ে অপর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন ওই ছাত্রী নিজেকে রক্ষায় কমনরুমের টিনের বেড়া ভেঙে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয়। আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার জাকির হোসেন ও গ্রামের মাতবররা মৌখিকভাবে শাসন করে মিমাংসা করে দেন। পরে গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলে পুলিশ বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবাকে থানায় ডেকে এনে তিন বখাটের বিরুদ্ধে মামলা নেয়।

শাজাহানপুর থানার ওসি মাসউদ চৌধুরী জানান, বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবাকে থানায় ডেকে এনে তিন বখাটের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top