সকল মেনু

পঞ্চগড়ে ইউপি নির্বাচনে এগিয়ে আওয়ামী লীগ

22717773a858e759841f7951ce2af879-panchagarhহটনিউজ২৪বিডি.কম : পঞ্চগড়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৬টিতে বিএনপি ১টিতে ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ১টিতে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে অপর একটি ইউনিয়নের ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মুসা কলিমুল্লাহ ৪ হাজার ৫৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির ইসমাইল হোসেন মেম্বার। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৫৭ ভোট।

দেবীগঞ্জ উপজেলার ট্রেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. গোলাম রহমান সরকার ৬ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবু তাহের সরকার। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৪ ভোট। চিলাহাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল মোস্তাহারুল হাসান প্রধান নয়ন ৯ হাজার ১৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী মো. সহিদুল আলম। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৮৪ ভোট।

বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুল জব্বার ৭ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী হাবিব আল আমীন ফেরদৌস। তিনি পেয়েছেন ৬০৩৩ ভোট।

মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু আনছার মো. রেজাউল করিম শামীম ৭ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রুহুল আমিন প্রধান। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩৯ ভোট। কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আলাউদ্দীন আলাল (চশমা প্রতীক নিয়ে) ৫ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুজ্জামান শ্যামল। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৭৯ ভোট। বড়শশী ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন ৫ হাজার ১১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মউর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৬১ ভোট।

বোদা উপজেলার বোদা ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মসিউর রহমান মানিক ৪ হাজার ১৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির ম আ ব সিদ্দীক মহব্বত। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৬৩৮ ভোট।

অপরদিকে, পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বেসরকারি ফলাফল ষোষণা করা হয়নি। এ ইউনিয়নের ডাংগীপুকুরী কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা না করে সদর উপজেলায় নিয়ে আসা হয়। এখানে জামায়াত সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইয়েদ নূরী আলমকে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী ফলাফল প্রত্যাখান করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল হোসেন জয়ী হয়েছে দাবি করে সদর উপজেলা অফিসে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা অফিসের জানালা দরজা ভাঙচুর করলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পঞ্চগড় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আকতারুজ্জামান আকতার, সহ-সভাপতি মুরাদসহ ৪ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আকতার ও মুরাদকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা এসে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে এবং অফিসের জানালা কাঁচ ও দরজা ভাঙচুর করে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল, বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল হাকিম মো. নওশাদ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহানসহ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় বিজিবি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে নেতাকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। পরে কর্মকর্তাবৃন্দ ফলাফল বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে বৈঠকে বসেন। রাত ১টা পর্যন্ত ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top