হটনিউজ২৪বিডি.কম : সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নীতি নির্ধারণী মহলের কাছ থেকে কোনও অস্পষ্ট ও অমূলক বক্তব্য প্রত্যাশা করেন না। শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এসএম মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘শিক্ষার্থী বাছাইয়ে ফুটপাত থেকে অখ্যাত লেখকদের বই কিনে তা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়।’ একজন শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রী এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বস্তুত বিচার বিশ্লেষণহীন এ ধরণের ঢালাও বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার আদৌ মিল নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি একটি পরীক্ষিত, স্বচ্ছ এবং ছাত্রবান্ধব প্রক্রিয়া। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব স্ব ইউনিটের ভর্তি সংক্রান্ত কমিটি। এটি একটি যুগোপযোগী প্রক্রিয়া, যা ক্রমাগত পরিমার্জনের মাধ্যমে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে কয়েকটি ধাপে নিরীক্ষণ শেষে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়। সুতরাং এই প্রশ্নপত্রের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও অবকাশ নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রক্রিয়া অথবা প্রশ্নপত্রের উৎকর্ষ সাধন নিয়ে যে কোনও মহলের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ শিক্ষক সমাজ সাদরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনোই শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করা বা ফেল করাবার জন্যে ভর্তি পরীক্ষা নেয় না। বরং এর মাধ্যমে মেধাবীদের মধ্য হতে সেরাদের যাচাই-বাছাই করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোই এর মূল উদ্দেশ্য।

বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি আরও বলেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির অহংকার, শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কার্যক্রম সর্ব্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা হয়। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে নীতি নির্ধারণী মহলের কোনও বক্তব্য অস্পষ্ট ও অমূলক হবে না; এটাই আমাদের প্রত্যাশা। জাতির অহংকার শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠকে নিয়ে অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে সকল মহলকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাবি শিক্ষক সমিতি।