সকল মেনু

নড়াইলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা

unnamedউজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ঢাকা মহাসড়ক ১৬ বছর আগে নড়াইলে চিত্রা নদীর ওপর এসএম সুলতান সেতু (সাবেক চিত্রা সেতু) নির্মিত হলেও সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে ৩ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক আজও নির্মিত হয়নি। ফলে নড়াইল শহরের ভেতর দিয়ে আঁকা-বাঁকা ও সরু পথ হয়ে প্রতিদিন বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরণের হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করছে। ফলে এ সড়ক সংলগ্ন ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে আসতে হয় অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। আর দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত।  দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ঢাকা মহাসড়ক। নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে নড়াইল শহরতলীতে মাছিমদিয়া-আউড়িয়া পয়েন্টে চিত্রা নদীর ওপর ১১৫.২৮ মিটার দৈর্ঘের এসএম সুলতান সেতু নির্মিত হয়। মূল পরিকল্পনায় শহরতলীর বাসভিটা থেকে আউড়িয়া প্রান্তের মালিবাগ পর্যন্ত ৬.৮ কিলোমিটার বাইপাস সংযোগ সড়ক নির্মানের কথা ছিল। এর মধ্যে বাসভিটা থেকে ধোপাখোলা পর্যন্ত ৩ কিঃমিঃ সড়ক অর্থ বরাদ্দের অভাবে ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় আজও নির্মিত হয়নি। নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা ফলে বিভিন্ন যানবাহন শহরের ভেতরের ২ কিলোমিটার সরু ও আকা-বাঁকা সড়ক হয়ে চলাচল করছে। শহরের সংকীর্ণ এ সড়কের পাশে রয়েছে ৩টি কিন্ডারগার্টেনসহ ৬টি স্কুল ও ৩টি কলেজ। শিশু শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্কুল-কলেজে আসতে হয় অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। এসকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে অন্তত ৩ হাজার। চলাচলকারী যানবাহনের উচ্চ শব্দ ও হর্ণের কারণে ক্লাস এবং হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।  এ সড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকেন চরম উৎকন্ঠায়। এলাকাবাসীর দাবি শহরের বাইরে দিয়ে একটি বাইপাস সংযোগ সড়ক নির্মানের। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থরা জানান, অনেক ঝুকি নিয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। যখন তারা ক্লাস করে বিভিন্ন যানবহনের শব্দে তারা ঠিক মত ক্লাসে মন দিতে পারেনা। রাস্তা পারা পারের সময় অনেক সময় দাড়িয়ে থাকতে হয়। তাদের দাবী দ্রুত এই সড়কে ভারি যানবহন চলাচল বন্ধ  হোক। চালকরা জানান, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে নড়াইল-ঢাকা, নড়াইল-ফুলতলা (খুলনা), নড়াইল- লোহাগড়া, নড়াইল-কালিয়াসহ বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহি বাস ট্রাকসহ হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। শহরের মধ্যে দিয়ে ছোট এই সড়কে ১২-১৩টি ঝুকিপূর্ন  মোড় রয়েছে, জনবসতিপূর্ন শরু এই সড়কে যানবাহনকে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ছোটবড় দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে । অবিভাবকরা জানান, বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে সব সময় আতংকে থাকি। প্রায়ই এই সড়কে দূর্ঘটনা ঘটে। একটি মাত্র সড়কের পাশে এত গুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমরা ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেনা পাঠিয়েও পারিনা আবার পাঠালেও তাদের কোন নিরাপত্তা নেই। শহরের মধ্যে দিয়ে এমন বাইপাস সড়ক দ্রুত সরিয়ে নেওয়া উচিত।  এক ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক নাম প্রকাশনা করা শর্তে বলেন, বাইচাস সড়ক না হওয়ার কারনে মারাক্তক সমস্যা হচ্ছে। প্রতিনিত যানজন লেগেই থাকছে।  শহরের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় নানারকম সমস্যা হচ্ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই। নড়াইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশ জানান, ভূমি অধিগ্রহণজনিত কারণে সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নকালে বাইপাস সড়ক নির্মান করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে প্রকল্প শেষ হয়ে যায়। নতুন করে প্রস্তাব করে সেটা অনুমোদন সাপেক্ষে বাইপাস সড়ক নির্মান করা যেতে পারে  জরুরিভাবে বাইপাস সড়ক নির্মানের মাধ্যমে শহরের মধ্য দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে পারলে শিক্ষার্থীসহ সব ধরণের মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে, সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার আশংকাও কমে যাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top