সকল মেনু

চীনা প্রেসিডেন্ট হোটেল লা মেরিডিয়ানে

847_38795হটনিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে ২দিনের সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হোটেল লা মেরিডিয়ানে পৌঁছেছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী বিশেষ বিমান হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে চীনা প্রেসিডেন্টকে হোটেলে নেয়া হয়। এখান সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছেন তিনি।

এ হোটেলেই মধ্যাহ্নভোজ সারবেন শি জিনপিং। এরপর বিকাল ২টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে পৌঁছাবেন তিনি। বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে শি জিনপিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। এ বৈঠক শেষে দুই নেতা কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফের লা মেরিডিয়ান হোটেলে ফেরার পর সেখানে তার সঙ্গে দেখা করবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদ ও শি জিন পিং। সফররত প্রেসিডেন্টের সম্মানে নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। আগামীকাল শনিবার সকালে ঢাকার অদূরে সাভারে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এরপর সকাল ১০টায় ভারতের গোয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

প্রসঙ্গত, শি জিন পিংয়ের সঙ্গে ১৩ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে। এ দলে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ছাড়াও কয়েকজন মন্ত্রীও রয়েছেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ জানানো চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের উপর ওয়াশিংটনের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাবশালী রাষ্ট্র ভারতেরও নজর রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ভূ-রাজনৈতিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজটি পেতে চায় চীন, যা নিয়ে ভারতসহ অন্য কয়েকটি দেশেরও আগ্রহ রয়েছে। ২০১০ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সফরে এসে ওই সমুদ্রবন্দরের প্রতি নিজ দেশের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বাংলাদেশ এখনও সমুদ্রবন্দরটি নিয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি। যদিও শি জিন পিংয়ের এই সফরে এই সমুদ্রবন্দর আলোচ্য সূচিতে নেই।

বাংলাদেশ ও চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে ভারতের ঈর্ষান্বিত হওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করে সংবাদপত্রটি। তবে চীনের সংবাদপত্রটির সঙ্গে একমত পোষণ করেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু গৃহীত পররাষ্ট্র নীতিই অনুসরণ করছে বর্তমান সরকার। সেটা হলো- ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’।

বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে চীনের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সম্পর্কের সম্ভাবনাগুলো খুলতে সরকারের নীতির ধারাবাহিকতায়ই শি জিন পিংয়ের এই সফর হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top