সকল মেনু

এম সুলতানের ২২,তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

unnamedউজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: বিশ্ববরেণ্য চিত্র শিল্পী গর্বিত সন্তান এসএম সুলতানের  ২২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ, সোমবার (১০ অক্টোবর)। দিনটি পালন উপলে নড়াইল জেলা প্রসাশন ও এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চিত্রা পাড়ের মাছিমদিয়া গ্রামে সুলতান কমপ্লেক্্ের কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল, শিল্পীর মাজারে পুস্প মাল্য অর্পণ, মাজার জিয়ারত, শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা,আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায়, মানবিকতার ঘৃণ্য শৃঙ্খলে আবদ্ধ সমাজের শোষিতরাই ছিল শিল্পী সুলতানের সকল ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু। যাদের প্রতি গভীর মমত্ববোধের কারণেই যুগে যুগে বঞ্চনা, অবজ্ঞা, আর শোষণের যাঁতাকলে নিঃস্পেষিত কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের কঙ্কালসার অবয়বকে কখনোই মেনে নিতে পারেননি সুলতান। তাই তো তার কল্পনার সবটুকু জুড়েই ছিল শক্তি সামর্থ্যরে প্রতিক স্থুলপেশী বহুল মানুষ। তার এই প্রতিবাদী চেতনা জীবন্ত হয়ে উঠেছে ক্যানভাসে। জীবণ-জীবিকার যুদ্ধে অবতীর্ণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর স্থুলপেশী বহুল অবয়ব বার বার উঠে এসেছে তার তুলির আঁচড়ে। যা ছিল সুলতানের চিত্রকলার মৌলিকত্ব। যে চিত্র কর্ম দিয়ে তিনি সমাদৃত হয়েছেন বিশ্বব্যাপী জাতির জন্য কুড়িয়ে এনেছেন অফুরন্ত সম্মান।

শিল্পীর সমাধি সৌধ, নৌ বিহারে শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কনের জন্য নির্মিত নৌকা, শিল্পীর আজন্ম লালিত স্বপ্ন শিশুস্বর্গসহ এখানকার পাড়াতে পাড়াতে ছড়িয়ে থাকা শিল্পী সুলতানের নানা স্মৃতি চিহ্ন প্রতিনিয়তই বিমোহিত করছে মানুষকে। সৃষ্টি হয়েছে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা। তার চিত্র কর্ম সকলের জন্য উন্মুক্ত করা, চিড়িয়াখানা ফেরত দেওয়া ও সুলতানের স্বপ্ন ছোট শিশুদের নৌকায় নিয়ে ছবি আকা যেন বাস্তবেই হয় তা সকলের দাবী। সুলতানের স্বপ্ন ছোট শিশুদের নৌকায় নিয়ে ছবি আকা তা বাস্তবায়নের চেষ্টায় আছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী। ১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট মহান শিল্পী সুলতান মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মেছের আলী,মাতা মাজু বিবি। স্কুলের অবসরে বাবাকে সহযোগিতার সময়ই সুলতানের ছবি আঁকার হাতেখড়ি। সুলতান ১৯৮২ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট“ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে  “ম্যান অব এশিয়া“ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিষ্ট স্বীকৃতি লাভ, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা  লাভ,১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন সুলতান।

শিল্পী এসএম সুলতান রোগে আক্রান্ত হয়ে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। শহরের কুড়িগ্রামে তার লাশ সমাহিত করা হয়।নড়াইল : বিশ্ববরেণ্য চিত্র শিল্পী নড়াইলের গর্বিত সন্তান এসএম সুলতানের  ২২তম মৃত্যু বার্ষিকী সোমবার (১০ অক্টোবর)। দিনটি পালন উপলে নড়াইল জেলা প্রসাশন ও এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চিত্রা পাড়ের মাছিমদিয়া গ্রামে সুলতান কমপ্লেক্্ের কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল, শিল্পীর মাজারে পুস্প মাল্য অর্পণ, মাজার জিয়ারত, শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা,আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে মানবিকতার ঘৃণ্য শৃঙ্খলে আবদ্ধ সমাজের শোষিতরাই ছিল শিল্পী সুলতানের সকল ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু। যাদের প্রতি গভীর মমত্ববোধের কারণেই যুগে যুগে বঞ্চনা, অবজ্ঞা, আর শোষণের যাঁতাকলে নিঃস্পেষিত কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের কঙ্কালসার অবয়বকে কখনোই মেনে নিতে পারেননি সুলতান। তাই তো তার কল্পনার সবটুকু জুড়েই ছিল শক্তি সামর্থ্যরে প্রতিক স্থুলপেশী বহুল মানুষ। তার এই প্রতিবাদী চেতনা জীবন্ত হয়ে উঠেছে ক্যানভাসে। জীবণ-জীবিকার যুদ্ধে অবতীর্ণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর স্থুলপেশী বহুল অবয়ব বার বার উঠে এসেছে তার তুলির আঁচড়ে। যা ছিল সুলতানের চিত্রকলার মৌলিকত্ব।

যে চিত্র কর্ম দিয়ে তিনি সমাদৃত হয়েছেন বিশ্বব্যাপী জাতির জন্য কুড়িয়ে এনেছেন অফুরন্ত সম্মান। শিল্পীর সমাধি সৌধ, নৌ বিহারে শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কনের জন্য নির্মিত নৌকা, শিল্পীর আজন্ম লালিত স্বপ্ন শিশুস্বর্গসহ এখানকার পাড়াতে পাড়াতে ছড়িয়ে থাকা শিল্পী সুলতানের নানা স্মৃতি চিহ্ন প্রতিনিয়তই বিমোহিত করছে মানুষকে। সৃষ্টি হয়েছে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা। তার চিত্র কর্ম সকলের জন্য উন্মুক্ত করা, চিড়িয়াখানা ফেরত দেওয়া ও সুলতানের স্বপ্ন ছোট শিশুদের নৌকায় নিয়ে ছবি আকা যেন বাস্তবেই হয় তা সকলের দাবী। সুলতানের স্বপ্ন ছোট শিশুদের নৌকায় নিয়ে ছবি আকা তা বাস্তবায়নের চেষ্টায় আছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী।১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট মহান শিল্পী সুলতান মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মেছের আলী,মাতা মাজু বিবি। স্কুলের অবসরে বাবাকে সহযোগিতার সময়ই সুলতানের ছবি আঁকার হাতেখড়ি। সুলতান ১৯৮২  সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট“ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে  “ম্যান অব এশিয়া“ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিষ্ট স্বীকৃতি লাভ, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা  লাভ,১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন সুলতান। শিল্পী এসএম সুলতান রোগে আক্রান্ত হয়ে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। শহরের কুড়িগ্রামে তার লাশ সমাহিত করা হয় ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top