সকল মেনু

সীমান্তে গরু চোরাচালান থাকলে হত্যা বন্ধ হবে না : বিজিবি

bgbdg_37779হটনিউজ ডেস্ক :  বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, গরু চোরাচালান বন্ধ না হলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, গরু চোরাচালানের কারণে ৯৫ ভাগ সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটছে এবং গরু চোরাচালানীদের ছত্রছায়ায় সীমান্তে অস্ত্র, স্বর্ণ, মাদক, হুন্ডি ও জাল টাকার ব্যবসা হচ্ছে। গরু চোরাচালান বন্ধ করা হলে সীমান্তে হত্যার সংখ্যা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। অন্যথায় সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা সম্ভব নয়। বিজিবির সদর দফতরে আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের নয়া দিল্লিতে বিজিবি ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সদ্য সমাপ্ত ৪৩তম সীমান্ত সম্মেলন বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএসএফকে গরু চোরাচালান বন্ধের জন্য আহবান জানানো হয়েছে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, চোরাচালানিরা ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু সংগ্রহ করে সীমান্তে জড়ো করে। টাকার লোভে বাংলাদেশ থেকে চোরাকারবারীরা জিরো লাইন অতিক্রম করে ওইসব গরু আনতে যায়। আর তখনই এই হত্যার ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সীমান্তে ২৬ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। পক্ষান্তরে গরু চোরাচালানিদের হাতে তিনজন বিএসএফ সদস্য নিহত ও ১৫৭ আহত হয়েছেন। বিএসএফ-এর গুলিতে ৬ ভারতীয় চোরাচালানিও নিহত হয়েছেন। গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ৪ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ হত্যা করেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একমাত্র গরু চোরাচালান বন্ধ করলে সীমান্তে হত্যার ঘটনা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সম্মেলনে বিএসএফ বলেছে-আত্মরক্ষার্থে তারা নন লেথাল ওয়েপন (মারণঘাতী নয় এমন অস্ত্র) ব্যবহার করে থাকে। তখর আমরা বিএসএফ ডিজির কাছে প্রশ্ন রাখি নন লেথাল ওয়েপন ব্যবহার করলে এতো মানুষ কেন মারা যাচ্ছে? আমরা সেখানে দেখেছি- যেসব বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মুখে ও বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি, আমাদের বিজিবি সদস্যরা ‘হিপ লেভেলের’ নিচে অস্ত্র ব্যবহার করার কারণে মানুষ মারা যায় না। ভারত তাদের ৭৯ শতাংশ সীমান্তে ইতোমধ্যে কাটাতারের বেড়া দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীমান্তে কাটাতারের বেড়ার পাশে বাঁধ নির্মাণে বিজিবি’র আপত্তির বিষয়টি সম্মেলনে তুলে ধরা হলে বিএসএফ তাতে সম্মত হয়েছে যে, কাটাতারের বেড়ার পাশে তারা কোথাও কোন বাঁধ নির্মাণ করবে না।
টেকনাফ থেকে শুরু করে ২৮২ কিলোমিটার সীমান্তে বাংলাদেশ শিগগিরই কাটাতারের বেড়া দেবে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশও ৯০০ কিলোমিটার সীমান্তে কাটাতারের বেড়া ও পাশে একটি রাস্তার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সন্মেলনে ভারতের কাছে ১২০০ জন সন্ত্রাসীর একটি তালিকা ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর মধ্যে আত্মগোপন করা ২১ আগস্টের গেনেড হামলার দুই জঙ্গি সদস্যসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top