সকল মেনু

পুলিশি হামলায় ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির কর্মসূচি পন্ড: আহত ৭০

unnamedনওয়াপাড়া থেকে ফিরে যশোর প্রতিনিধি, আব্দুল ওয়াহাব মুকুল: যশোরের নওয়াপাড়ায় পুলিশের লাঠিচার্জে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ওয়ার্কার্স পার্টির যশোর জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরো সদস্য ইকবাল কবির জাহিদসহ ৬০-৭০ জন  আহত হয়েছে। পুলিশ সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে জলাবদ্ধ এলাকার আন্দোলনরত দুর্গত মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে। সংগ্রাম কমিটির নেতারা বলেছেন, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর পুলিশের যে পৈশাচিক হামলা হয়েছে, তার বিচার হতেই হবে।
আজ বুধবার সংগ্রাম কমিটির পুর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন কালে পুলিশ এই হামলা চালায়। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
সংগ্রাম কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব আহত চৈতন্যকুমার পাল জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জলাবদ্ধ সহস্রাধিক মানুষ নূরবাগ এলাকায় রাস্তার ওপর বসে পড়লে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে। এছাড়া সংগ্রাম কমিটির নেতাদের উদ্দেশ করে নানা খিস্তি-খেউড় করতে থাকে।  এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান দাবি করেন, আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তিনি পুলিশি হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের জন্যে সরকার ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাদের সড়ক অবরোধ করার কী দরকার!

unnamed
গত দুই মাসের জলাবদ্ধতার কারণে ভদহ এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। পানি নিষ্কাশনে মাত্র একটি এসকেভেটর ব্যবহার করায় পানি নামছে খুব ধীরে। দ্রুত পানি নামাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জলাবব্ধ যশোরের অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুরের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন। পানি থেকে বাঁচতে সংগ্রাম কমিটির আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আজকের এই অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।

unnamed
সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী জানান, সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের রাস্তায় জড়ো হতেই দেয়নি। এছাড়া পুলিশ নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সকলকে লাঠিপেটা করে আহত করেছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেছেন, এই সরকারের পুলিশ বাহিনী বর্বরতায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। তিনি বলেন, পানিবন্দি মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা নওয়াপাড়ার স্বাধীনতা চত্বরে রাস্তার ওপর বসে পড়েন। পুলিশ বিনাউসকানিতে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় সংগ্রাম কমিটির দুই নেতার পা ভেঙে গেছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, পুলিশের লাঠির আঘাত লেগেছে তার সারা শরীরে। কানে দুটি সেলাই দিতে হয়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর পুলিশের যে পৈশাচিক হামলা হয়েছে, তার বিচার হতেই হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top