সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রী নিজের পুরস্কার দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন

pm-presscon2_36797হটনিউজ ডেস্ক :  নিজের অর্জন করা ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ এওয়ার্ড’ পুরস্কার দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি আমার পুরস্কার দেশবাসীকে করলাম। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আমার বক্তৃতায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদতদাতাদের খুঁকে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি। আজ রবিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। ১৭ দিনব্যাপী যুক্তরাজ্য, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড সম্মেলন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ ব্যস্ত সফরের পর ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে দেশে ফেরেন তিনি। এ সফরে শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। একইসঙ্গে ভূষিত হন ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ এওয়ার্ড’ পুরস্কার ও ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ খেতাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও আমি বাংলায় বক্তব্য দেই। বক্তৃতায় অভিবাসী ও শরণার্থী ইস্যুটিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুরোধ করি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমি সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের পরামর্শদাতা, মূল পরিকল্পনাকারী, মদতদাতা, পৃষ্ঠপোষক, অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহকারী এবং প্রশিক্ষকদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই। বক্তৃতায় শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বজুড়ে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বলেও জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ৩৫ বছরে এ প্রথম তিনি ব্যক্তিগত ছুটিতে টানা ৫ দিন কাটালেন। এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়া পর ৫ দিন ওয়াশিংটনে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসায় কাটান প্রধানমন্ত্রী। এই সময়টিকেই তিনি তার ব্যক্তিগত ছুটির সময় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সময় যদিও আমি ৫১টি ফাইল স্বাক্ষর করেছি, কিন্তু তাতেও সময়টিকে আমি আমার ছুটি হিসেবেই ধরতে চাই। প্রসঙ্গত ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এরপর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রথম দফায় ২০০৯-২০১৪ পর্য়ন্ত দ্বিতীয় এবং ২০১৪ থেকে তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনো সংঘাত হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো সবচেয়ে বেশি। এটি কাম্য নয়। এই অঞ্চলে শান্তি বজায় থাকুক এটিই আমরা চাই। এ;িতে ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট এওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। তথ্য প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, আর সে জন্য তিনি গর্বিত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার এই ছেলে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জন্মগ্রহণ করে। তখন আমাদের বড় দুখের সময়। একটি একতলা বাড়িতে আমাদের বন্দি করে রাখা হয়েছিল, তারই একটি দিনে ওর জন্ম। তারপর আল্লাহ তাকে এতো বড় করেছে। বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে নিতে পারছে, এটাই অনেক বড় কথা। ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট এওয়ার্ড’ অর্জন করায় মা হিসেবে এটি আমার জন্য অনেক গর্বের। জয় তথ্য ও প্রযুক্তি উন্নয়নে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় তার বিশেষ অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ যে এতো দ্রুত ডিজিটাল হতে পেরেছে এ জন্য তার অবদান অনেক।
কানাডা সফরের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড সম্মেলনের ফাঁকে জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করি। বৈঠকে ট্রুডো দু’দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুসংহত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। তিনি এ নিয়ে সেদেশের আইনি বাধার কথা উল্লেখ করেন। তবে ন্যায়বিচার নিশ্চিতপূর্বক কীভাবে স্পর্শকাতর ইস্যুটির সুরাহা করা যায়, তার উপায় খুঁজতে দু’দেশের উপযুক্ত প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা শুরুর পক্ষে মত দেন। জাস্টিন ট্রুডোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং ট্রুডো তা সানন্দে গ্রহণ করেন বলেও জানান তিনি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার দেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার উপায় খুঁজতে দু’দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আলোচনা শুরুর পক্ষে মত দিয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড সম্মেলনের ফাঁকে আমি জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করি। বৈঠকে ট্রুডো দু’দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুসংহত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। তিনি এ নিয়ে সেদেশের আইনি বাধার কথা উল্লেখ করেন। তবে ন্যায়বিচার নিশ্চিতপূর্বক কীভাবে স্পর্শকাতর ইস্যুটির সুরাহা করা যায়, তার উপায় খুঁজতে দু’দেশের উপযুক্ত প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা শুরুর পক্ষে মত দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top