হটনিউজ২৪বিডি.কম :  বহুল আলোচিত রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার অস্ত্র ও অর্থের জোগান বিদেশ থেকে এসেছে বলে তথ্য পেয়েছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ওই অর্থের জোগান এসেছে হুন্ডির মাধ্যমে আর অস্ত্র এসেছে বর্ডার পেরিয়ে ভারত থেকে। আজ সোমবার এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান। প্রসঙ্গত গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে এবং ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। এদিকে পুলিশের অভিযানে জঙ্গিদের শক্তি কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের অভিযানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ৬০ শতাংশ শক্তি ক্ষয় হয়েছে। তবে মারজান, বাশারুজ্জামান ও রাজীব আত্মগোপন করেছে। যেকোনো সময় তারা আবার সংঘবদ্ধ হতে পারে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এসব হামলার আগে হুন্ডির মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা গ্রহণ করে জঙ্গিরা। এছাড়া বিদেশ থেকে অস্ত্রের চালান ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসে। কিন্তু সে টাকা বাংলাদেশের কেউ বিদেশ থেকে পাঠিয়েছেন, নাকি বাংলাদেশ থেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পাঠানো হয়েছে, সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো ১৪ লাখ টাকা যে গ্রহণ করেছে, তাকে ধরতে অভিযান চলছে।
এ ছাড়া গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় রাজীব গান্ধী ওরফে প্রভাষ নামে আরও একজন জড়িত বলে জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাজীব ওই ২ হামলার ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। এই রাজীবসহ গুলশান হামলার অপারেশনাল কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজান ও আরেক জঙ্গি বাশারুজ্জামান দেশের মধ্যেই আত্মগোপন করে আছে বলে তাদের ধারণা। এছাড়াও হামলার পর খালিদ ও রিপন নামের ২ জঙ্গি ভারতে পালিয়েছে বলেও তথ্য আছে পুলিশের কাছে।