টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি এমপি আমানুর রহমান খান রানার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ রবিবার সকালে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক আবুল মনসুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এমপি আমানুর এদিন একাই আদালতে উপস্থিত হন। তার ৩ ভাই বা পলাতক অন্য আসমিরা কেউ আত্মসমর্পণ করেননি।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইলে তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার ৩ দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানার পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলার আসামি আনিছুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার হন। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এমপি আমানুর ও তার ৩ ভাইয়ের এ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে এমপি ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে আছেন।
এ বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি আমানুর, তার ৩ ভাইসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আমানুরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ১৭ মে এই ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া ও মালামাল জব্দ করার নির্দেশ দেয় আদালত। ২০ মে পুলিশ এমপি ও তার ৩ ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মালামাল জব্দ করে, তবে সেখানে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না।
সবশেষ ১৬ জুন আদালত আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দেন। সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি চিঠি দিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে জানানো হয়।
