সকল মেনু

আ.লীগের সম্মেলনের লক্ষ্য পরবর্তী নির্বাচন

3a0700b269d522b0e8eda4a6227e6f90-lg

দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে আওয়ামী লীগ। সম্মেলনে দলের যে ঘোষণাপত্র পেশ করা হবে, তার আলোকেই প্রস্তুত হবে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার। সম্মেলনের সবকিছুই হবে পরবর্তী নির্বাচনের মহড়া।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রমজানের ঈদের আগেই একাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতির ডাক দিয়েছেন। তখন থেকেই আমরা শুরু করেছি। সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করা হবে।’
দলটির তিনজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁদের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সবকিছুতেই থাকবে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির ছাপ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে ‘দিনবদলের সনদ’ স্লোগান দিয়ে ভিশন-২০২১ ঘোষণা করা হয়েছিল। এটা দলটির ১৯তম সম্মেলনের ঘোষণাপত্র থেকে নেওয়া হয়েছিল। এবারের সম্মেলনে ভিশন-২০৪১ চূড়ান্ত করা হবে। চূড়ান্ত ঘোষণায় থাকবে আকর্ষণীয় স্লোগান। তবে এখনো ওই ঘোষণা চূড়ান্ত হয়নি। ওই নেতারা বলছেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিকল্পনা তৈরির জন্যই সম্মেলন বারবার পেছানো হয়েছে। মূলত দলটির সম্মেলনটি হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মহড়া। তিনবার পেছানোর পর আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০তম জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যে ঘোষণাপত্র পেশ করা হবে, তার আলোকেই আওয়ামী লীগ একাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার প্রস্তুত করবে। গত নির্বাচনের ইশতেহারেও তা-ই হয়েছিল।’
দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর তিন সদস্য বলেন, পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে হলেও এটা নিয়ে কোনো দল থেকেই উচ্চবাচ্য হবে না। বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁরা জেনেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির যে আপত্তি রয়েছে, সে সম্পর্কে সরকার সচেতন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের মেয়াদ শেষ হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন সবার মতামত নিয়েই গঠন করা হবে বলে তাঁরা জানান।
ওই পাঁচজন নেতার মতে, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে অনেক ছাড় দিতে তাঁরা প্রস্তুত। তবে বর্তমান সরকারপ্রধানের নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে কোনো ছাড় তাঁরা দেবেন না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘যে যেভাবেই কথা বলুক না কেন, ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন হবে না এবং নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top