সকল মেনু

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোলায় ছোট ট্রলারে মেঘনা পারাপার

unnamedএম. শরীফ হোসাইন, ভোলা: আর মাত্র দু’দিন পরেই কুরবানির ঈদ। এই ঈদকে সামনে রেখে নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে ভোলায় আসতে গিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বিশেষ করে ইলিশা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে পর্যাপ্ত নীরাপদ নৌযান না থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে ছোট ছোট ট্রলারে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রীরা জানায় নিরাপদ লঞ্চ অথবা সি-ট্রাক না পাওয়ায় তারা ছোট ছোট ট্রলারে মেঘনা নদী পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন সময় ও অর্থ বেশি লাগছে। অপর দিকে তেমনি রয়েছে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ট্রলার ডুবিতে জীবনের ঝুকি। শুধু তা-ই নয়। ট্রলারগুলো কূলে ভেরার জন্য কোন ঘাট না থাকায় যাত্রীরা ওঠা নামা করতে চরম ভোগান্তির শিকার হন। এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীরা।
চট্রগ্রাম থেকে আসা চরফ্যাশনের গৃহবধু শারমিন আক্তারসহ কয়েকজন যাত্রী জানান, চট্টগ্রাম থেকে ভোলা আসার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হলো মজুচৌধুরীহাট-ইলিশা ঘাট। এখানে পর্যাপ্ত লঞ্চ না থাকায় কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ট্রলার যোগে মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন তারা।
রংপুর থেকে আসা ভোলার জসিম উদ্দিন জানান, ঈদে ছুটি নিয়ে দু’দিন আগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে মজুচৌধুরী ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া ও জীবনের ঝুকি নিয়ে পার হতে হয়েছে তাকে।
ভোলা বাস মালিক সমিতির নেতা কিশোর জানান, ঈদে চট্টগ্রাম থেকে ভোলাগামী যাত্রীদের জন্য ইলিশা বাসস্টান্ড থেকে অতিরিক্ত ৪০টি বাস দেয়ে হয়েছে। যাতে করে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের কোন প্রকার কষ্ট না হয়।
ভোলার ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই বসার জানান, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ যাতে করে নিরপদে ঘরে ফিরতে পারে সে জন্য ইলিশা লঞ্চঘাটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top