সকল মেনু

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার যানজট

                                       ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শনিরআখড়া থেকে শুরু করে দুই দিকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই মহাসড়কের শনিরআখড়া থেকে প্রায় নরসিংদীর কাছাকাছি এবং মেঘনা সেতুর টোল এলাকা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এতে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উল্টো দিক থেকে আসা অনেক যাত্রীরা পায়ে হেটে গন্তব্যে পৌঁছেছে। ফলে যানজটের কারণে মহিলা শিশু বয়স্কদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল পাঁচটার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যানজট লক্ষ্য করা গেছে। এ দুটি মহাসড়কে যান চলাচলে খুবই ধীরগতি ছিল।
তবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে থাকা ট্রাফিক কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জে ভুলতা ফ্লাইওভার নির্মাণ, কাঁচপুর সেতু ও মেঘনা সেতুতে সকালে কয়েকটি যানবাহন বিকল হওয়ার কারণে যানজট প্রকট আকারে রূপ নেয়। ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিয়ে দেশের ৩৮টি রুটে যান চলাচল করে। এর একটি পয়েন্ট হলো কাঁচপুর সেতুর পূর্ব পাড়। দুটি মহাসড়ক ওই পাড় দিয়েই বিভক্ত হয়েছে। ফলে রাজধানী ঢাকা থেকে সেতুর পূর্ব ঢাল পর্যন্ত যানবাহনের চাপ থাকে সবচেয়ে বেশী। সেতুর কয়েক কিলোমিটার পূর্বে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল এলাকা পর্যন্ত মহাসড়ক ৮ লেনের। ফলে রাজধানী হতে আসা যানগুলো একসঙ্গে আসার পর শিমরাইলে মোড়ে যানজটের শিকার হয়। কারণ শিমরাইল হতে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত সড়কটি চার লেনের। এরই মধ্যে আবার শিমরাইলে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার ও যাত্রী উঠানামা হয়। তবে শুক্রবার বিকাল পাঁচটার পর থেকে যানবাহন চলাচলে স্বাভাবিক হয়ে উঠে। কাঁচপুর সেতুর উত্তর দিকে গেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। সেখানে ভুলতায় গাউছিয়া মার্কেটের সামনে চলছে ফ্লাইওভারের কাজ। ফলে ওই স্থানে সড়ক সরু হয়ে গেছে। তাছাড়া যাত্রাবাড়ি থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপসী পর্যন্ত সড়কের গাড়িও মহাসড়কে গিয়ে জড়ো হয়। কিন্তু ফ্লাইওভারের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট রয়েছে। এছাড়া দুই মহাসড়কের দুই পাশে বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী গরুর হাটও এই যানজটের অন্যতম কারন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে রয়েছে কয়েকটি বাস স্ট্যান্ড। এর মধ্যে মদনপুর এলাকায় আবার রয়েছে মদনপুর-গাজীপুর এশিয়ান হাইওয়ে। যে কারণে মদনপুরের ওই স্পটে সর্বদা যানজট থাকায় সেটার প্রভাব পড়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কেও। এ মহাসড়কের কাঁচপুর, দড়িকান্দি, মোগরাপাড়া, মেঘনা ও চিপরদী এলাকাতেও গণপরিবহন থামিয়ে যাত্রী উঠানামানো হয়। এ ব্যাপারে শিমরাইল পুলশের ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) মোল্লা তাসলিম হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ৩টি গাড়ি কাঁচপুর সেতুর উপর উঠতে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ায় সড়কে যানজট শুরু হয়
কুমিল্লাগামী তিসা পরিবহনের যাত্রী সুমন মিয়া ও নুরুজ্জামান জানান, কাচঁপুর সেতু থেকে মেঘনা সেতু পার হতেই আমাদের ৫ ঘন্টা সময় বাসে বসে থাকতে হয়েছে। নোয়াখালীর যাত্রী রহমত উল্লাহ ও ইয়াকুব উল্লাহ জানায়, তীব্র যানজট ও গরমে আমাদের সাথে থাকা নারী , শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রতিটি ঈদের পূর্বেই যানজটের কবলে পড়ে অবর্বণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের।
চট্টগ্রাম পরিবহনের যাত্রী ইয়াসমিন আক্তার ও শান্তা ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ প্রকাশ করে বলেন, এত পুলিশ সদস্যরা মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করার পরও কেন যানজটের কবলে পড়তে হয় আমাদের। তারা জানায়, পুলিশের কতিপয় সদস্যদের চাদাঁবাজীর কারণেই আমাদের যানজটের কবলে পড়তে হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top