সকল মেনু

সিটিসেলের বিকল্প সেবায় বিটিআরসির গণবিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ

62381ba2eb40773636798185783076ac-citycell

দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকমের (সিটিসেল) গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দেওয়া গণবিজ্ঞপ্তির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিটিআরসির গণবিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে সরকার ও বিটিআরসির প্রতি রুল জারি করেছেন আদালত।
সিটিসেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে সিটিসেলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব ও সৈয়দ মাহছিব হোসেন।

পরে সিটিসেলের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী বিটিআরসি গ্রাহকদের উদ্দেশে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে না। কারণ, আইন অনুযায়ী সিটিসেলের কার্যক্রম এখনো বাতিল হয়নি। সে বিষয়ে আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’

সিটিসেলের গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেওয়ার জন্য গত ৩১ জুলাই ও ১৬ আগস্ট দুটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিটিআরসি। প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেওয়ার সময় ১৬ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির বকেয়ার পরিমাণ ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এই বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে সিটিসেলের গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেওয়ার জন্য প্রাথমিক সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

১৯৮৯ সালে দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর হিসেবে টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার লাইসেন্স পায় সিটিসেল। ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটিসেলে বর্তমানে ৫৫ ভাগ শেয়ারের মালিক দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকম। এর মধ্যে প্যাসিফিক মোটরসের শেয়ারের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ফার ইস্ট টেলিকমের ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিংটেল। প্যাসিফিকের কর্ণধার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খান।

বর্তমানে সিটিসেলে চার শতাধিক কর্মী কর্মরত। এসব কর্মীর বেশির ভাগই নিয়মিত বেতন পান না। বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সিটিসেলের গ্রাহকসংখ্যা বর্তমানে ৬ লাখ ৬৮ হাজার। সে হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির বাজার দখল ১ শতাংশের কম। ২০০৬ সাল থেকে গত ১০ বছরে ধারাবাহিকভাবে গ্রাহক হারিয়েছে অপারেটরটি। দেশের একমাত্র সিডিএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস) অপারেটর হিসেবে সিটিসেলের টাওয়ারের সংখ্যা ৮৫০-এর বেশি বলা হলেও বর্তমানে চালু থাকা টাওয়ারের সংখ্যা ২০০-র কম বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top