রাজধানীর দক্ষিণখানে ভাড়াটে সেজে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা আক্তার সীমা (৪৮) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তাত্ক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

স্বজনরা বলছেন, কিছু স্বর্ণালংকার খোয়া গেছে, সেগুলো লুটের উদ্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়। তবে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ রোকনুজ্জামান বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। হত্যার প্রকৃত কারণ নির্ণয় ও জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিহতের স্বজনরা জানান, দক্ষিণখানের গাওয়াইর এলাকার দক্ষিণপাড়ার ৭১৫/২ নম্বর ছয়তলা বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতেন সীমা। তার স্বামী কুয়েত প্রবাসী সোহরাব হোসেন বাড়িটির মালিক। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুই যুবক বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে সীমার সঙ্গে দেখা করে। ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাট খালি ছিল। তাই সীমা সেটি দেখানোর জন্য যুবকদের নিয়ে যান। ফাঁকা ফ্ল্যাটে ঢোকার পরপরই যুবকরা দরজা বন্ধ করে দিয়ে সীমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। এ সময় তার চিত্কার শুনে মেয়ে শোভা ষষ্ঠ তলায় যান। তখন তিনি দুই যুবককে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যেতে দেখেন। এরপর ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে ঢুকে মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। দ্রুত তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ঢামেকের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক পরীক্ষা করে জানান, পথেই তার মৃত্যু হয়েছে।