সকল মেনু

ট্রেনে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু আগামীকাল

1473190117_91

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদুল আযহা উপলক্ষে ট্রেনে অগ্রিম টিকেট নেয়া ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার থেকে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে নেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। এছাড়াও যাত্রী নিরাপত্তায় রেল পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। এদিকে এবারের ঈদ উপহার হিসেবে ঢাকা-মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) রুটে ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামে আট সেপ্টেম্বর চালু হচ্ছে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কমলাপুর রেল স্টেশনে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এদিকে ট্রেনের ফিরতি টিকেট বিক্রি কার্যক্রম চলছে।

রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, যশোর, ঈশ্বরদী, রাজশাহী, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটসহ বড় স্টেশনগুলো থেকে ২৯ আগস্ট থেকে একযোগে অগ্রিম ট্রেনের টিকেট বিক্রি শুরু হয। চলে টানা পাঁচদিন পর্যন্ত। কমলাপুর রেল স্টেশনের ২৩টি কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করেন ঘরমুখো মানুষ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদযাত্রায় কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন ৬৯টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। দিনে বিক্রি হবে প্রায় ৪৫ হাজার টিকেট। এরমধ্যে অগ্রিম টিকেট বিক্রি হয়েছে ২২হাজার ৬৭৬টি। প্রতিবারের মতো এবারও ৬৫ভাগ টিকেট দেয়া হয় সাধারণ যাত্রীদের জন্য।

আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা হবে। তবে ১২ সেপ্টেম্বর ঈদ ধরে টিকেট বিক্রি শেষ হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২৯ আগস্ট বিক্রি হয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর যাত্রার টিকেট। একইভাবে ৩০ আগস্ট ৮ সেপ্টেম্বরের, ৩১ আগস্ট ৯ সেপ্টেম্বরের, ১ সেপ্টেম্বর ১০ সেপ্টেম্বরের ও ২ সেপ্টেম্বর ১১ সেপ্টেম্বরের অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হয়েছে। ঈদ একদিন পিছিয়ে যাওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বরও নিয়মিত ট্রেন চলবে। ঈদের আগের দিনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি চলছে কমলাপুরসহ অন্যান্য রেল স্টেশন থেকে। এবার ঈদে ঢাকা থেকে সারা দেশে ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রীর যাতায়াতের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগের বার ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী টেনেছিলো রেলওয়ে।

এছাড়াও ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে ফিরতি ট্রেনের অগ্রিম টিকেট। পাঁচ সেপ্টেম্বর দেয়া হয়েছে ১৪ সেপ্টেম্বরের টিকেট। ৬ সেপ্টেম্বর দেয়া হয় ১৫ সেপ্টেম্বরের, ৭ সেপ্টেম্বরের দেয়া হবে ১৬ সেপ্টেম্বরের, ৮ সেপ্টেম্বরের দেয়া হবে ১৭ দেয়া হবে সেপ্টেম্বরের ও ৯ সেপ্টেম্বর দেয়া হবে ১৮ সেপ্টেম্বরের ফিরতি অগ্রিম টিকেট।

রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, এবারের ঈদ উপলক্ষে রেলের বহরে থাকা এক হাজার ছয়টি কোচের সঙ্গে আরও ১৪০টি কোচ যোগ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিতভাবে চলাচলকারী ২০২টি ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও ১৮টি ইঞ্জিন।

কমলাপুর রেল স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জনকণ্ঠ’কে বলেন, ঈদ যাত্রা যেন নিরাপদ হয় সেজন্য রেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি আছে। এ ব্যাপারে রেল বিভাগের একাধিক টিম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও যাত্রী নিরাপত্তায় স্টেশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

মঙ্গলবার কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে ফিরতি টিকেট নেয়ার কোন ভীড় নেই। বেশিরভাগ কাউন্টার ছিল ফাঁকা। কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অনলাইনে ফিরতি টিকেট দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সবাই এখন বাড়ি ফেরার ব্যস্থতায়। তাই ঢাকায় ফিরতি টিকেট কাটার আগ্রহ একেবারেই কম। নিজ নিজ এলাকা থেকে বেশিরভাগ যাত্রী আগে ভাগেই ফিরতি টিকেট সংগ্রহ করছেন।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top