সকল মেনু

দরজি নিখিলকে হত্যাসহ কয়েকটি অপারেশনের পরিকল্পনা ছিল

51938b27e50780980690ebf026a07aeb-19
কয়েকটি অপারেশন পরিচালনার জন্য টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য মোসলেম উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক সদস্য রফিক ওরফে হৃদয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল দুজনে টাঙ্গাইলে গোপালপুরের ডুবাইল গ্রামে গিয়ে নিখিলের বাড়ি ও দোকান এবং ওই এলাকার রাস্তাঘাট দেখে আসেন। পরের দিন জেএমবির অপর সদস্য পঞ্চগড়ের বাইক নজরুল তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। ৩০ এপ্রিল মোসলেম, রফিক ও নজরুল একটি মোটরসাইকেলে করে নিখিল দরজির বাড়ির সামনে যান। নজরুল মোটরসাইকেলে বসে থাকেন। মোসলেম ও রফিক চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নিখিলের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তাঁরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দরজি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারকে হত্যার এমন বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মোসলেম উদ্দিন। আজ রোববার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আশিকুজ্জামান মোসলেমের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এসব তথ্য দিয়েছেন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মোসলেমকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর সাংগঠনিক নাম সোহেল। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মোসলেম নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তিনি স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হওয়ায় আজ বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। জবানবন্দি শেষে তাঁকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, বাইক নজরুল রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

গত ৩০ এপ্রিল নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার নিহত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। অপর দিকে পুলিশও বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে। নিখিল নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইএস এই হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top