সকল মেনু

ফলোআপ: পাচারকারী জেল হাজতে উদ্ধারকৃত ১৩ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

unnamedএম. শরীফ হোসাইন, ভোলা : ভোলার তজুমদ্দিনে মানবপাচারকারী হাত থেকে উদ্ধাকৃত ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জনের জবানবন্দি নিয়েছে ভোলার চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক। শুক্রবার (২ সেপ্টেমর) দুপুরে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ উদ্ধারকৃত ৩ শিশুকে বাদ রেখে বাকিদের ভোলা আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি নেয়।
অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা নিতাই দেবনাথকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় মানবপাচার আইনের ৭/৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহিন মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের কার্যক্রম শেষে উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তারা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন।
জানা গেছে, ভারতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রাম জেলার সন্দিপ, চকরিয়া, টেকনাথ ও কুতুবদিয় উপজেলার নারী ও শিশুসহ ১৬ জনকে পাচার করার চেষ্টা করছিল নিতাই দেবনাথ। কিন্তু তাদের ভারতে পাচার করতে না পেরে ভোলার তজুমদ্দিনের পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের নিজ বাড়ীতে ১৬ দিন ধরে নিজের জিম্মায় রাখে নিতাই দেবনাথ। বিষয়টি টের পেয়ে তজুমদ্দিন পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃতরা হলেন, সুরদর দাস, রতন দাস, শিপন দাস, অরবিন্দ দাস, অধির দাস, তপন দাস, ফাল্গুনী দাস, শিপ্রা দাস, রিপন দাস, শিপন দাস, রাখাল দাস, হেমন্ত দাস, ধলিবালা দাস, রিদি দাস, মুক্তা দাস ও মিলু দাস।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা জানান,তাদের কাছ থেকে নিতাই দেবনাথ ৪ হাজার টাকা করে নিয়ে ভারতে পৌঁছে দেয়ার প্রলোভন দেখায়। কিন্তু ১৬ দিনেও ভারতে না নিয়ে তালবাহানা শুরু করে। টাকা ফেরত কিংবা বাড়ীতে যেতে চাইলেও যেতে দেয়নি।
আটককৃত নিতাই দেবনাথ অভিযোদের দায় শিকার করে সাংবাদিকদের জানান, পাচার নয়, তাদের ইচ্ছামতই ভারতে পৌঁছে দেয়ার চুক্তিতে আনা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top