বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মীর কাসেম আলীকে তার রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শুনানো হয়।
এরপর তাকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ নিয়ে সময় চান।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শুনানোর পর কাসেম আলীকে কিছুটা চিন্তিত মনে হচ্ছিল। তার চোখে মুখে উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে।
প্রশান্ত কুমার বনিক বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সি পিটিশন করবেন কি না এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে মীর কাসেম আলী সময় চেয়েছেন। তার এ সময় চাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে তিনি কারাগারে তার কাছে (কাসেম আলী) থাকা রেডিওর মাধ্যমে রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায় শুনেছিলেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ পৌঁছে দেয়া হয়।
রাত অনেক বেশী হওয়ায় মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শুনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে রায় পড়ে শুনানো হয়।
৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। গ্রেফতারের পর ২০১২ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে রয়েছেন।
২০১৪ সালের আগে তিনি এ কারাগারে হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।