সকল মেনু

কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায় প্রকাশ : ফাঁসির প্রক্রিয়া শুরু

kashem-ali_30720হটনিউজ২৪বিডি.কম : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জাড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় দেয়া ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দায়ের রিভিউ খারিজের চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করা হয়েছে। এখন এ রায় কার্যকর করার জন্য নিয়মানুযায়ী তা পাঠানো হবে ট্রাইব্যুনাল, মন্ত্রণালয়, কারাগারসহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায়। এদিকে আলবদর কমান্ডার-যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হতে পারে কাশিমপুর কারাগারেই। আর এর জন্য জল্লাদসহ সবকিছু প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তপক্ষ। কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো. নাশির আহমেদ বলেন, এখন মার্সি পিটিশন করতে রাজি চাইলে তার জন্য তিনি কিছুটা সময় পাবেন। আর তা না করলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। তবে এ কারাগারে ফাঁসির জন্য জল্লাদসহ সকল প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এ জন্য সরকার দিনক্ষণ, জায়গা এসব ঠিক করে দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অবশ্য সদ্য সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের কারণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এখনও পর্যন্ত কোন ফাঁসি কার্যকর না হওয়ায় সেখানে মীর কাশেমের ফাঁসি হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফলে কাশিমপুর কারাগারেই তার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার সম্ভবনা বেশি। আর ওই যুদ্ধাপরাধী বর্তমানে রয়েছেনও সে কারাগারেই।

এর আগে আজ সকালে চূড়ান্ত পরিণতি নিশ্চিত মৃত্যুর খবর শুনে কাশিমপুর কারাগারে বন্দি বদর কমান্ডার-যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী নার্ভাস হয়ে পড়েছেন। তবে এ মামলার এত দীর্ঘ পরিক্রমায় এর আগে কখনোই তিনি বিচলিত হননি। কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা তার রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার খবর তিনি রেডিওতে শুনেছেন জানিয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ। ট্রাইব্যুনালের দেয়া তার মৃত্যুদ-ের রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বহাল রাখায় তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন একাত্তরের এ বদর নেতা। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার সে আবেদ খারিজ করে দিয়েছে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো. নাশির আহমেদ বলেন, কারাগারে বন্দিরা চাইলে এক ব্যান্ডের রেডিও রাখতে পারেন। সে রেডিওতেই কাসেম সকালে রায়ের খবর জেনেছেন। অবশ্য আগে তাকে বেশ শক্ত দেখা গেলেও রায় শোনার পর অনেকটা নার্ভাস মনে হয়েছে বলে জানিয়ে জেলার বলেন, রায়ের অনুলিপি হাতে পেলে নিয়ম অনুযায়ী তারা আসামিকে তা পড়ে শোনাবেন। মীর কাসেমের কাছে জানতে চাওয়া হবে- তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না। এর পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে ২০১২ সালের ১৭ জুন যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় তার যুদ্ধাপরাধের বিচার। গ্রেপ্তারের পর কাশিমপুর কারাগারেই রাখা হয়েছিল তাকে। শুরুতে ডিভিশন পেলেও ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদ-ের রায়ের পর তাকে ফাঁসির সেলে পাঠানো হয়। গত ৮ মার্চ আপিলের রায়েও কাসেমের সর্বোচ্চ সাজার আদেশ বহাল থাকে। এরপর ২০ জুন তাকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হলেও ২৬ জুলাই আবার কাশিমপুরে ফেরানো হয়। সেই থেকে তিনি ওই কারাগারেই আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top