হটনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের স্থানীয় নতুন হ্যান্ডসেট র্ব্যান্ড ডিগো মোবাইল আপদকালিন প্রয়োজন মেটাতে পি২৪১ এসওএস মডেলের ইমার্জেন্সি ফোন উন্মুক্ত করেছে। ৭৫০০ মিলি আ্যম্পিয়ার ক্ষমতা সম্পূন্ন ব্যাটারির ফোনটির নাম দেওয়া হয়েছে পাওয়ার হাউজ। ডিগো মোবাইল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশের সবচেয়ে বেশি মিলি আ্যম্পিয়ার’র ব্যাটারির ফোনটি এক চার্জেই চলবে ২৯ দিন এবং এই ফোন থেকে এক সাথে তিনটি ফোনে চার্জ দেওয়া যাবে। অর্থাৎ এটি পাওয়ার ব্যাংক হিসাবেও ব্যাবহার করা যায়। এই ফোনটির ব্যাটারিটিও আলাদা ভাবে পাওয়ার ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করা যায়, ফলে ভ্রমণপ্রেমীরা লম্বা সফরে এই ফোনটি সাথে নিতে পারেন। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এই ফোনটি ব্যাকআপ ফোন এবং পাওয়ার ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। ইমার্জেন্সি মুহূর্তে ফোনটির এসওএস ফিচারের মাধ্যমে পূর্ব নির্ধারিত পাঁচজন ব্যক্তির কাছে স্বয়ংক্রিয় ফোন ও এসএমএস চলে যাবে। বিপদে পড়লে তীব্র আওয়াজের প্যানিক অ্যালার্ম ব্যবহার করে সাহায্য নেওয়া যাবে। বয়স্করা এসব সেবা ব্যবহার করে সহায়তা নিতে পারবেন। ওয়্যারলেস এফএম রেডিও এবং বক্স স্পিকারের কারণে সঙ্গীত প্রেমীরা নির্ঝঞ্ঝাট গান শুনতে পারবেন হেড ফোন ছাড়াই।
এছাড়া দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে যেখানে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে সেখানে এই ফোনের সাথে বিনামূল্যে পাওয়া এলইডি লাইট পড়াশুনা এবং গৃহস্থলীর কাজে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যাবে। শক্তিশালী বিল্ট কোয়ালিটি ফোনটির গায়ে অতিরিক্ত সংযুক্ত করা র্যাডিয়াম জ্যাকেট রাতের অন্ধকারে জ্বলজ্বল করবে ফলে অন্ধকারেও ফোনটি সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে। ডুয়েল সিম সুবিধার এই ডিভাইসটিতে রয়েছে ২.৪” ডিসপ্লে ইউনিট, একটি রিয়ার ক্যামেরা, সুপার ব্রাইট টর্চ (সাধারণ তিন ব্যাটারির টর্চের আলো দেবে), জিপিএস, এসওএস, ব্ল“টুথ, ওয়্যারলেস এফএম, বক্স স্পিকার ছাড়াও আরও বেশ কিছু উদ্ভাবনী ফিচার। ফুল ওয়েভ চার্জার হওয়াতে ফোনটি অর্ধেক সময়ে ফুল চার্জ নিতে সক্ষম। ৭৫০০ মিলি আ্যম্পিয়ার ব্যাটারি ফোনটির চার্জ দিতে সময় লাগবে মাত্র ৪ ঘন্টা । ডিগো পি২৪১ মডেলের এই ইমার্জেন্সি ফোনটির খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২৬৯০ টাকা। সাথে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে ইউএসবি এলইডি লাইট এবং একাধিক ফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত থ্রী ইন ওয়ান চার্জার ক্যাবল।
ইমার্জেন্সি ফোনটি প্রসঙ্গে ডিগো মোবাইলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার এরশাদ জাহান বলেন, ‘দেশে গতানুগতিক অনেক ফোন থাকলেও আমরা মূলত উদ্ভাবনী ফোন নিয়ে কাজ করছি। একটি হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে শিশু, বৃদ্ধ, বিপদগ্রস্থ মানুষ, সঙ্গীতপ্রেমী, ট্রাভেলারসহ আরও অনেক শ্রেণীর মানুষ সুবিধা নিতে পারছেন। ফলে একটি নিয়মিত ফোনের পাশাপাশি আমাদের ইমার্জেন্সি ফোনটি যেমন অন্য ফোনের পাওয়ার ব্যাংক হিসেবে কাজ করছে; অন্যদিকে স্বাভাবিক ফোনের চেয়েও বেশি সার্ভিস দিচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, নেপালের সর্বশেষ শক্তিশালি ভূমিকম্পে বিপুল পরিমাণের ক্ষয়ক্ষতির পরই মূলত চীন এই উদ্ভাবনী ফোনটি তৈরি করে। রেডক্রিসেন্ট এই ইমার্জেন্সি ফোনটির প্রায় ১ লাখ ইউনিট সহায়তার উদ্দেশ্যে সে সময় নেপাল পাঠিয়েছিল। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে ফোনটির ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাংলাদেশে সবার আগে এ ধরণের ইমার্জেন্সি ফোন বাজারে নিয়ে এসেছে ডিগো মোবাইল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।