সকল মেনু

ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

2012-08-15-16-49-54-502bd332290b9-8স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম,ঢাকা: জামায়াতের টানা চারদিনের হরতালে থেমে গেছে ইসলামপুরের পাইকারী ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা। রমজানের এই মৌসুমেই কাপড় ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করে থাকেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে টানা হরতালে কার্যত বিক্রি বন্ধ হয়ে তাদের মাথায় হাত পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিস্টরা জানান, ঢিলেঢালা বা নিরুত্তাপ যাই হোক হরতালে পাইকারী এই মার্কেটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা মোটা অংকের টাকা নিয়ে আসতে ভয় পাচ্ছেন।

আবার মালামাল ক্রয় করে গাইট বেঁধে নিয়ে যাওয়া হরতালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ তাই হরতালে পাইকারী ক্রেতা না আসায় বিক্রি একরকম থেমে যায়। ঈদকে সামনে রেখে বিক্রির এই ভরা মৌসুমেও গত কয়েকদিন বিক্রির তুলনায় খরচ বেশি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দেশে কাপড়ের বড় পাইকারী মার্কেট খ্যাত পাটুয়াটুলী, ইসলামপুর, নবাববাড়ী এলাকা ঘুরে দেখা যায় এসব এলাকার ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা নেই। কর্মচারীরা দোকান বন্ধ করে দোকানের সামনে অপেক্ষা করছেন। অন্যান্য দিনের মতো পাইকারী ক্রেতাদের আনাগুনা নেই।

এশিয়ান প্লাজার লাক্সারী থ্রিপিচ এর কর্ণধার নজরুল ইসলাম হটনিউজকে বলেন, সারাবছর নানা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও ভেবেছিলাম রমজান উপলক্ষ্যে তেমন রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে না। এতে স্বাভাবিক ভাবেই বিক্রির এই সময়টা পার করতে পারবো। কিন্তু এই চারদিনে বিক্রির তুলনায় প্রতিদিন খরচই বেশি হয়েছে।

আমিন ম্যানশনের পাকিজা ফেব্রিক্স কালেকশনের কর্মচারি মো. রাজিব হটনিউজকে জানান, প্রতিদিন তাদের দোকানে বেতন ও অন্যান্য বাবদ খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা। হরতালে ক্রেতা না আসায় খরচ কমাতে দোকানই খোলা হচ্ছে না।

ইসলামপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান সোহেল হটনিউজকে বলেন, ব্যবসার এই সময়টাতে কথা বলার সময়ই থাকে না। শতকরা দশভাগ বিক্রির নজির নেই এই চার দিনের হরতালে। গত কয়েক দিনে বিক্রির যে অবস্থা তাতে সব ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

কোনো ব্যবসায়ীর টার্গেট পূরণ হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top