সকল মেনু

টানা হরতালে দুর্ভোগে পরিবহন সেক্টর

20110429-mohakhali-460.jpg_6295.20110429-mohakhali-460 (1)স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম,ঢাকা: টানা চারদিনের হরতালে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পরিবহন সেক্টরের মালিক-কর্মচারীরা। যাত্রী না থাকায় রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের অধিকাংশ টিকেট কাউন্টার ফাঁকা। কর্মচারীরা পার করছেন কর্মহীন অলস সময়।

কয়েকজন কাউন্টার মাস্টারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা চারদিনের হরতালে তাদের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। প্রতিদিন যেখানে ২০ থেকে ৩০ ট্রিপ যেতো, হরতালের কারণে এখন কোনো পরিবহনের যাচ্ছে এক ট্রিপ, কোনোটার পাঁচ ট্রিপ। ফলে বাসের চালক ও হেলপারদের খোরাকি হিসেবে দেওয়া হচ্ছে দিনে ২০০ টাকা করে । এ টাকা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনপার করছেন চালক ও হেলপাররা। একই রকম দুর্ভোগের শিকার গাবতলী টার্মিনালে কর্মরত লেবাররাও।
ঈগল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার বশির আহমেদ হটনিউজকে বলেন, ‘হরতালের কারণে আমরা চরম সমস্যা আছি। আজ চারদিন হলো দিনে গাড়ি বের করতে পারছি না। সারাদিন অলস বসে থাকি। কোনো যাত্রীও নেই। আগে যেখানে ২০ থেকে ৩০ ট্রিপ ছাড়তাম, এখন বিকেল ৪টার পর থেকে রাতে পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪ ট্রিপ ছাড়তে পারছি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পরিবহন সেক্টর ধ্বংস হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘হরতালে সবচেয়ে বেশি বিপদে থাকি আমরা যারা কর্মচারী। কারণ, হরতালে গাড়ি পোড়ালে, ভাঙচুর করলে গাড়ি ইন্স্যুরেন্স থাকায় মালিক ক্ষতিপূরণ পায়। কিন্তু পথে মার খেতে হয় ড্রাইভারদের। অনেক সময় হরতালকারীরা ড্রাইভারসহ গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারছে। এখানেও শ্রমিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই।’

জে আর ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার মশিউর রহমান হটনিউজকে বলেন, ‘হরতাল হলেই আমাদের বিপদে পড়তে হয়। যাত্রী কাউন্টারের থাকুক আর না থাকুক আমাদের এসে বসে থাকতে হয়। পাহারা দিতে হয় গাড়ি। কোনো ধরনের অঘটন ঘটলে জবাবদিহিও করতে হয় আমাদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাছাড়া গাড়ি না চললে আমাদের বেতন না দিয়ে শুধু খোরাকি দেওয়া হয়। এ সামান্য খোরাকি দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর। হরতালের দিনেও সরকার আমাদের নিরপত্তা দেয় না।’

গাবতলী টার্মিনালের লেবার গোপাল হটনিউজকে জানান, হরতাল না থাকলে আমাদের দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হতো। চারদিনের হরতালে সেই আয় বন্ধ হয়ে গেছে। এখন পাঁচজনের পরিবার নিয়ে চরম দুর্ভোগে আছি। ছেলে-মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দেওয়াই কঠিন হয়ে গেছে। বাজারও ঠিকমতো করতে পারিনি এ ক’দিন। এক বেলা খেয়ে না খেয়ে টার্মিনালে এসে অপেক্ষা করি কখন কাজ পাবো।

এদিকে বৃহস্পতিবার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে ডাকা হরতালে গাবতলী বাস টার্মিনাল ছিল যাত্রীশূন্য।

গাবতলী থেকে দেশের অন্য জেলায় কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। কোনো গাড়ি গাবতলীতে এসে পৌঁছেনি। গাবতলীতে হরতালের সমর্থনে বা হরতালের বিপক্ষে কোনো ধরনের মিছিল বা পিকেটিংয়ের ঘটনাও ঘটেনি। তবে লোকাল পরিবহনের কিছু গাড়ি ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top