সকল মেনু

কেশবপুরে ৩ নির্মাণ শ্রমিকসহ ৫ জনের মৃত্যু

unnamed কেশেবপুর থেকে ফিরে আব্দুল ওয়াহাব মুকুল, যশোর প্রতিনিধি: কেশবপুরে সেপটি ট্যাঙ্কির ভিতর পাটাতন খুলতে যেয়ে ৩ শ্রমিক ও তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে পিতা পুত্রসহ ৫ জনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসি লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ রায়হান কবীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আর সাদেক ও যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীরের পক্ষে নিহত প্রতি পরিবারকে ৬৫ হাজার টাকা করে প্রদানের ঘোষণা দেন।
সরেজমিন পরিদর্শন কালে নিহতদের স্বজন  ও এলাকাবাসি জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে  উপজেলার সরসকাটি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী ওজিয়ার রহমান মোড়লের বাড়ির সেপটি ট্যাঙ্কির পাটাতন  খোলার কাজ করছিল ৩ জন নির্মাণ শ্রমিক। এ সময় মির্জানগর গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র আল আমিন (২২) ও বরণডালি গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র আব্দুল হামিদ (২৪) মইয়ের সাহায্যে সেফটি ট্যাঙ্গের ভিতরে প্রবেশ করে। তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রধান মিস্ত্রি বরণডালি গ্রামে মুত কলিম শেখের পুত্র হাফেজ ইকবাল হোসেন (৩৫) মইয়ের সাহায্যে সেপটি ট্যাঙ্কের ভিতরে নামে। দীর্ঘ সময় তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশী আহাদ আলী –ও এলাকাবাসি সহ অনেকে এগিয়ে আসে। সেফটি ট্রাঙ্কের ভিতর তাদের পড়ে থাকতে দেখে সরসকাটি গ্রামের রাজ আলীর পুত্র আব্দুল আহাদ (৫৫) ও তার পুত্র শফিকুল ইসলাম (২২) তাদের উদ্ধার করতে ভিতরে প্রবেশ করে তারও আর ফিরে আসেনি। পরে সেফটি ট্যাঙ্কের ভিতর ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জানতে পেরে এলাকাবাসি ফায়ার সার্ভিসের খবর দেন।  খবর পেয়ে মণিরামপুর থেকে য়ায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারি দল ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে সেফটি ট্যাঙ্কের সাইড ভেঙ্গে একে একে ৫টি লাশ উদ্ধার করে। মুহুর্তের ভিতরে সেফটি ট্যাঙ্গের ভিতরে ৫ জনের করুণ মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ঘটনাস্থেলে গিয়ে নির্মাণধিীন বাড়ির মালিক সরসকাটি গ্রামের মৃত ওসমান মোড়লের ছেলে ওজিহার রহমানকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। আলাপ হলো তার ৬ ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যা রোকসানা খাতুন জানায়, সেফটি ট্যাঙ্কের পাটাতন খুলতে যেয়ে ৩ নির্মাণ শ্রমিক সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মণিরামপুর ফায়ারসার্ভিসের স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সেফটি ট্যাঙ্কটি ঢালাই দেওয়ার পর দীর্ঘ দিনে তার মধ্যে মিথেন নামে এক ধরণের গ্যাস তৈরি হয়। যে গ্যাসে ভেতরে ৩০ সেকেন্ডের বেশী মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। যার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। পরে একে একে ৫ মৃত ব্যক্তির লাশ স্বজনরা তাদের যার যার বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ রায়হান কবির, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ শেখ আবু শাহীন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, ওসি তদন্ত মাসুদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ রায়হান কবির জানান, ৩ নির্মাণ শ্রমিক সহ ৫ জনের করুণ মৃত্যুর খবর পেয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আর সাদেক ও যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর নিহত প্রতি পরিবারকে ৬৫ হাজার টাকা করে প্রদানের ঘোষণা দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top