সকল মেনু

বিদ্যুৎকেন্দ্রে নাশকতায় সর্বনিম্ন ৭ বছর দণ্ড

9f40e08e846d9b9cb6154dfd1312a550-PM

বিদ্যুৎকেন্দ্র বা উপকেন্দ্রের নাশকতা বা অনিষ্ট সাধন করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর ও সর্বনিম্ন ৭ বছরের কারাদণ্ড হবে। একই সঙ্গে ১০ কোটি টাকা জরিমানাও দিতে হতে পারে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জেল-জরিমানার এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে বিদ্যুৎ আইন-২০১৬ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি জানান, এ আইনের আওতায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার সমন্বয়ে বিদ্যুৎ গোয়েন্দা সেল গঠন করা হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, ব্যক্তিপর্যায়ে বিদ্যুৎ চুরি বা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ–সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করলে অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড বা চুরি করা বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ জরিমানা বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। আর শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই দণ্ড অনধিক পাঁচ বছর এবং চুরি করা মূল্যের দ্বিগুণ জরিমানা বা এক লাখ টাকা জরিমানা। এ ছাড়া বিদ্যুতের তার, ট্রান্সফরমার, খুঁটি চুরি করলে কমপক্ষে ২ বছর, সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বনিম্ন জরিমানা ৫০ হাজার আর সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা হবে।

এ ছাড়া অবৈধভাবে নিজের মিটার থেকে অন্য কাউকে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া যাবে না। যদি কেউ দেয়, তাহলে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।

এই আইনের আওতায় একটি স্বাধীন সিস্টেম অপারেটর (আইএসও) প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশের বিদ্যুৎ অপারেটররা এর আওতায় আসবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, ১৯১০ সালে বিদ্যুতের মূল আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ের আলোকে এটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আইনটি হালনাগাদ করায় এর কলেবর বেড়েছে। তিনি জানান, আইনে প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনিকভাবে যে পাওয়ার সেল গঠন করা হয়েছে, সেটিকে এ আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top