সকল মেনু

পুলিশের ধাওয়ায় একজনের মৃত্যু, গণপিটুনিতে পুলিশ নিহত

 

0f2b50af4ca22270df5c344c1669c1d7-narayangonj

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পুলিশের ধাওয়ায় পুকুরে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় এক কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন এলাকাবাসী। আজ বুধবার বিকেলে পৌরসভার রাইজদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ধাওয়ায় পানিতে ডুবে মারা যান আবদুল মতিন (৫০)। তিনি সোনারগাঁ পৌরসভার রাইজদিয়া গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। নিহত কনস্টেবলের নাম আরিফুর রহমান (৪৫)। তিনি মানিকগঞ্জ সদরের সুসন্ধ্যা এলাকার বজলুল খানের ছেলে।

পুলিশ বলছে, আবদুল মতিন মাদক বিক্রেতা। তবে পরিবারের দাবি, তিনি পান-সুপারি ব্যবসায়ী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, আজ বিকেলে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) ফখরুল মিয়া আরিফুর রহমানকে নিয়ে সাদাপোশাকে রাইজদিয়া গ্রামে যান। আবদুল মতিনকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেন। ওই ব্যবসায়ী পুলিশের ভয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আরিফুর রহমান আবদুল মতিনকে ধরতে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় আরিফুর রহমানের সঙ্গে আবদুল মতিনের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে আবদুল মতিন পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারা যান। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন একত্র হয়ে আরিফুর রহমানকে আটক করে পিটুনি দেন। পরে তিনি মারা যান।

আবদুল মতিনের স্ত্রী নুরতাজ জানান, আবদুল মতিন সোনারগাঁ পৌরসভার আদমপুর বাজারে পান-সুপারি বিক্রি করতেন। নুরতাজের অভিযোগ, সাদাপোশাকে পুলিশের দুই সদস্য ঘুষ আদায়ের জন্য স্বামীকে পানিতে ডুবিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুল হক দাবি করেন, আবদুল মতিন একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা আছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল হক বলেন, থানায় তাঁর নামে কোনো মামলা নেই। তল্লাশি করতে গিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পানিতে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় উত্তেজিত জনতার পিটুনিতে কনস্টেবল আরিফুর রহমানের মৃত্যু হয়।

ওবায়দুল হক আরও বলেন, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার লাশের ময়নাতদন্ত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top