সকল মেনু

খানশামায় দেশীয় মাছ এখন বিলুপ্ত প্রায়

indexফারুক আহম্মেদ খানসামা দিনাজপুর,প্রতিনিধি: গ্রামাঞ্চলের মানুষ পাতাজাল, ধর্মজাল, বেড়াজাল কারেন্ট জাল.বর্সি ইত্যাদি দিয়ে মাছ ধরত। মাছ খেতে খেতে বিমুখ হয়ে যেত। কিন্তু এখন আর সেই মাছগ্রামাঞ্চলের মানুষ চোখে দেখতে পাচ্ছে না। খানসামার বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলে এসব দেশীয় মাছ বিলুপ্ত পথে প্রায়। তাই “মাছে ভাতে বাঙালি” কথাটি যেন এখন হারিয়ে যেতে চলেছে। উত্তরবংগের জেলা উপজেলাগুলোর বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের পরিচিত দেশিয় প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। কারন এ অঞ্চলের খাল বিল, নদ নদীসহ মুক্ত জলাশয় গুলো মাছ শূন্য হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে খাল বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে দেশিয় প্রজাতির মাছ কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ বলে সচেতন মহল মনে করছেন। ইতোমধ্যে এ অঞ্চল থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবদা, সরপুঁটি, তিতপুঁটি, টেংরা, চান্দা, কৈ, শিং, মাগুর, বেলে, শৈল, গজার, বোয়াল, বাইম, চিতলসহ দেশিয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। গ্রামাঞ্চলের ছোট বড় হাট বাজারগুলোতেও এ প্রজাতির মাছ আগের মতো এখন আর তেমন দেখা যায় না। এখন গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতে এ প্রজাতির মাছের আমদানি একেবারেই নেই বললেই চলে। তবে মাঝে মধ্যে কিছু মাছ হাটবাজারে ওঠলেও সেগুলো চলে যায় বিত্তবানদের ঘরে। অতিরিক্ত দামের কারনে মধ্যম শ্রেণীর পেশার লোকজন কিনতে পারছেন না। ধারনা করা হচ্ছে , এ অবস্থা বিরাজ থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে নদনদী,খাল বিলসহ মুক্ত জলাশয়গুলোতে প্রাকৃতিক মাছ শূন্য হয়ে পড়বে। বিগত এক দশক আগেও দেশি প্রজাতির প্রাকৃতিক মাছের কোন ঘাটতি ছিল না। উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জলাশয় ভরাট, জনসংখ্যা বেড়ে যাওযায় মৎস্য আহরণের চাপ বেড়ে গেছে। অপরদিকে, সেচ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top