পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বেলা পৌনে দুইটার দিকে কেরিংচরের হাছিনাবাজার এলাকার লোকজন সেখানকার মেঘনার ভাঙনের ফলে মাটির নিচে একটি বস্তা দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁরা বিষয়টি মোর্শেদবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানান। পরে কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার আজাদুল ইসলাম সেখানে গিয়ে মাটি সরিয়ে বস্তাটির ভেতর থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেন।

জানতে চাইলে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এসআই খন্দকার আজাদুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, দুপুরে স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে বস্তাভর্তি অস্ত্র ও গুলিগুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলির মধ্যে রয়েছে একটি রাইফেল, আটটি একনলা বন্দুক, একটি দোনলা বন্দুক, দুটি এলজি, দুটি বড় ছোরা, দা চারটি, ৬০টি শটগানের কার্তুজ ও ৮০টি গুলি। পরে অস্ত্রগুলো তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব অস্ত্র জলদস্যু কিংবা বনদস্যু কোনো বাহিনীর। কারণ, ওই এলাকায় একসময় দস্যুদের আস্তানা ছিল। হয়তো দস্যুরা এগুলো মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিল। এখন নদীভাঙনের কারণে মাটি সরে যাওয়ায় লোকজনের নজরে পড়ে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।