সকল মেনু

কমলগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বল্য বিয়ে সংবাদ পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাৎক্ষনিক উদ্যোগ নিয়ে কনে পক্ষের সাথে আলোচনা করেই বাল্য বিবাহটি প্রতিরোধ করলেন।
জানা যায়, ছনগাঁও গ্রামের কৃষক আক্রম আলীর মেয়ে (১৬) তেঁতইগাঁও রসিদ উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। একই গ্রামের অবস্থা সম্পন্ন কৃষক তোয়াব উল্যার ছেলে প্রবাসী শাহাব উদ্দীনের সাথে এ ছাত্রীর বিয়ে ঠিক ঠাক হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের দিন ধার্য্য করা ছিল। কনে দশম শ্রেণির ছাত্রী খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল আলম স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যকে এ বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে সহায়তা করার কথা বলে বরযাত্রী আসার আগেই তিনি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে চলে যান। কনের বাবাসহ আত্মীয় স্বজনদের বুঝিয়ে অবশেষে এ বাল্য বিবাহটি রুখে দেওয়া হল। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এ মেয়ের বিয়েকে বিয়ে দিবেন না বলে সহকারী কমিশনার অভিভাবককে বুঝিয়ে বললেন। তেঁতই গাঁও রসিদ উদ্দীন  উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন জানান, বিদ্যালয় রেকর্ড অনুযায়ী এ ছাত্রীর জন্ম তারিখ ৫ জানুয়ারী ২০০০ ইং। ছাত্রীর বাবা কৃষক আকরম আলী সহকারী কমিশনার (ভূমি)-র নির্দেশনায় তার মেয়ের বিয়ে বন্ধ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, ১৮ বছর পূর্ণ হলে আমার মেয়ের বিয়ে দিব। এ বিষয়টিও তিনি বরপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও জানান। তবে বরপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কারো সাথে কথা বলা যায়নি। ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল আলম আদমপুরের ছনগাঁও গ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউপি সদস্য মোস্তফা কামালের মধ্যস্থতায় (ছাত্রীর) বাবার জিম্মায় রেখে দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top