সকল মেনু

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

index ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধ: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ায় বানভাসী মানুষজন আশ্রয় নিয়েছে উচু বাধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পানির প্রবল তোরে রৌমারী উপজেলা শহর রক্ষা বাধ ভেঙ্গে ১০ টি বাড়ী ভেসে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে রৌমারী উপজেলা শহরে।
গত ২৪ ঘন্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার এবং সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে জেলার ৯ উপজেলায় পানিবন্দী হয়েছে দেড় লক্ষাধিক পরিবারের ৬ লক্ষাধিক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে সাড়ে ৫শ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক ও ৪০ কিলোমিটার নদ-নদীর তীর রক্ষা বাধ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ২ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়ে চরম দুর্ভোগে দুর্গতরা। বন্যার্তদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত রোগ।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সুত্র জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় ৮৫টি মেডিকেল টিম দুর্গতদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য কাজ করছে।
বন্যা দুর্গতরা বাড়ী-ঘর ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বিশেষ করে বৃষ্টির কারনে তাদের দুর্ভোগ দ্বিগুন বেড়েছে।
এ বিপুল সংখক মানুষের জন্য সরকারী সামান্য ত্রান তৎপরতা কোন কাজেই আসছে না। বেশির ভাগ পরিবার এক বেলা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে। দুর্গত এলাকায় নৌকা দেখলেই ত্রান পাওয়ার আশায় ছুটে আসছে হাজার হাজার বানভাসী মানুষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ৪শ মেট্রিক টন চাউল বিতরন করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর সড়কে আশ্রয় নেয়া শামছুল মিয়া জানান, কষ্ট করে ১০ দিন ধরে পানির উপর থাকলেও আর থাকা যাচ্ছে না। এজন্য বৌ-বাচ্চা, গরু-ছাগল নিয়ে পাকা রাস্তায় এসেছি। কিন্তু খোলা আকাশের নীচে থাকতে হচ্ছে। খুটির উপর পলিথিন দিবো সে টাকাও নেই।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদীর পানি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top