সকল মেনু

গুলশান হামলার মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন দুই সাক্ষি

indexকোর্ট রিপোর্টার: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার মামলার দুই সাক্ষি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে এ দুই সাক্ষি আদালতে জবানবন্দি দেন। এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির দুই সাক্ষির জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন আদালতের কাছে। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম সাক্ষি সত্য প্রকাশের জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব সাক্ষি শাহীনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তবে জবানবন্দিতে সাক্ষিরা কি বলেছেন তা জানা যায় নি।
এদিকে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারী জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার নর্থ সাউথের এক শিক্ষকসহ তিন জনকে আট দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এ আদেশ দেন। এরআগে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির আসামিদের আদালতে হাজির করে কারগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিরা হলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম গিয়াস উদ্দিন আহসান, তাঁর ফ্ল্যাটের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবুর রহমান এবং ওই অধ্যাপকের ভাগনে আলম চৌধুরী।  এ তিন আসামিকে রাজধানীর ভাটার থানা এলাকা থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমাতি পায় পুলিশ। এ ছাড়া তথ্য না জেনে জঙ্গিদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে নুরুল ইসলাম নামের এক বাড়িওয়ালাকে আটক করা হয়। রিমান্ডে থাকাকালিন সময়ে অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে গত ২০ তারিখ কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এরআগে গত ১ জুলাই রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দেশি-বিদেশি অন্তত ৩৩ জনকে জিম্মি করে একদল অস্ত্রধারী। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে সেখান থেকে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নিহত হন পাঁচ হামলাকারী। এর আগে রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জঙ্গিদের ছোড়া বোমায় পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top