সকল মেনু

টক অব দ্যা বেলাব

index বেলাব(নরসিংদী) প্রতিনিধি: বেলাবতে নির্বাচন অফিসে সংরক্ষিত ইউপি নির্বাচনের ভোটের বস্তা রিটানিং অফিসার ও তৎকালীন সমাজ সেবা কর্মকর্তা নঈম জাহাঙ্গীর কর্তৃক সরানোর অপচেষ্ঠায় নিন্দা ও বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বেলাব ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীকারী মোঃ হানিফ শেখ। ২৬ জুলাই মঙ্গলবার বেলাব প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বেলাব উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার খালেদা, তার দু’সহোদর আব্দুল মান্নাফ ও রবিউল আওয়ালসহ আরও অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ ইউপি নির্বাচনের দিন ভোট গণনার সময় প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো: শাহাদাত হোসেন আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মস্তুফা খানের সাথে আতাত করে আমি ও আমার এজেন্টদের জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে কারচুপি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে বিধিবর্হিভূতভাবে কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা না করে উপজেলা কন্ট্রোল রুমে এসে ৪ ভোটের ব্যবধানে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে। সাথে সাথে আমি ঘটনার প্রতিবাদ ও ফলাফল প্রত্যাখান করি। যাহা স্থানীয় প্রশাসন, গণমাধ্যম ও এলাকাবাসী অবগত আছে। পরে আমি এর প্রতিকার চেয়ে নরসিংদী বিজ্ঞ নির্বাচনী ট্রাইবুন্যালে (সদর সহকারী জজ আদালত) মামলা দায়ের করি। মামলা নং- ৫/২০১৬ ইং। ঘটনার বিবরণে হানিফ শেখ অভিযোগ করে বলেন অত্র ইউপি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নঈম জাহাঙ্গীর বর্তমানে বদলী হয়ে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাওঁ উপজেলায় কর্মরত আছেন। গত ২৪ জুলাই রোববার দুপুর ২টায় তিনি গোপনে বেলাবতে এসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে সংরক্ষিত উক্ত কেন্দ্রের ভোটের বস্তা তার লোকজন দিয়ে সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা কালে স্থানীয় জনগণের হাতে ধরা পড়ে এবং আটক হয়। এ ঘটনা শুনে আমি নরসিংদী থেকে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে এসে দেখি বহু লোক উপস্থিত এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে হাবিবা পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বস্তাটি তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পরে নিরাপত্তার জন্য নরসিংদী জেলা ট্রেজারীতে পাঠিয়ে দেন। তিনি যে ঘটনাটি ঘটাতে চেষ্টা করেছিলেন আমার মতে তা সম্পূর্ণ বিধিবর্হিভূত। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আমি এর প্রতিকার দাবী করছি। ঘটনাটি এখন টক অব দ্যা বেলাবতে পরিণত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে হাবিবা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন রিটার্নিং অফিসার যে ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন তা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অবস্থার বেগতিক দেখে পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং আটককৃত বস্তা নিজ হেফাজতে নিয়ে জেলা ট্রেজারীতে পাঠিয়ে দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলতাব হোসেন বলেন,ব্যাপারটি আমাকে মৌখিকভাবে অবগত করা হয়েছিল। নিয়মমাফিক উক্ত বস্তা রিটার্নিং অফিসারের হেফজতেই থাকার কথা। তবে এ ব্যাপারে কোন লিখিত অনুমতি চাওয়া হয়নি এবং আমি কোন লিখিত অনুমতিও দেয় নি।

রিটার্নিং অফিসার ও তৎকালীন সমাজ সেবা অফিসার নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, নির্বাচনী বিধি মোতাবেক ভোটের মালামাল সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের হেফাজতেই থাকে। আমার অফিসে নিরাপত্তা ও জায়গার অভাব থাকায় তখন উক্ত মালামাল আমি নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তার জন্য গচ্ছিত রেখেছিলাম। এখন যেহেতু ঘটনাটি নিয়ে মামলা হয়েছে তাই পুনরায় আমার হেফাজতে আনতে চেয়েছিলাম এবং বর্তমানে যেখানে পাঠানো হয়েছে আমিও সেখানেই পাঠানোর ব্যবস্থা করতাম। কিন্তু বিষয়টিকে তার ভুল বুঝেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top