সকল মেনু

কোনো ব্যর্থতা নেই: মেয়র নাছির

Mayor_fghj-290x336হটনিউজ২৪বিডি.কম : মেয়র পদে এক বছর দায়িত্ব পালনের পর বিলবোর্ড উচ্ছেদ ও সিটি করপোরেশনে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফেরানোকেই প্রধান সাফল্য হিসেবে দেখছেন আ জ ম নাছির উদ্দিন, যার প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল জলাবদ্ধতা নিরসন।দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তির প্রাক্কালে শনিবার রাতে নগর ভবনে নিজ কার্যালয়ে আলাপচারিতায় নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, গৃহীত কর্মসূচি ও পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন মেয়র।

পাঁচ বছর মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে সাফল্য-ব্যর্থতা মূল্যায়নের জন্য এক বছর ‘যথেষ্ট সময়’ নয় বলে মনে করেন নাছির। তারপরও তার দাবি, বন্দরনগরীর মেয়র হিসেবে প্রথম বছরে ‘কোনো ব্যর্থতা নেই’ তার।

আগামী দিনে তিনি পরিবর্তন আনতে চান করপোরেশনের বাজেট প্রণয়নে, রাজস্ব আদায় বাড়িয়ে মেটাতে চান অর্থের ঘাটতি আর নতুন ‘অর্গানোগ্রাম’ করে বৃদ্ধি করতে চান জনবল। তার আশা, আগামী দুই বছরের মধ্যে করপোরেশনের দায়-দেনা শোধ করা যাবে।

আর পরিচ্ছন্নতায় গৃহীত উদ্যোগ সফল হলে পরের দুই বছরের মধ্যেই চট্টগ্রামকে ‘গ্রিন সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তব করা যাবে বলে আশা করছেন মেয়র নাছির, যিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও।

এক বছরের কাজের মূল্যায়নে তিনি বলেন, “জনগণের সেবা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সময় সাপেক্ষ। তবু বিলবোর্ড উচ্ছেদে সফল হয়েছি। এক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি। সিটি করপোরেশনে আগে চেইন অব কমান্ড ছিল না। সেটা প্রতিষ্ঠা করেছি।”

করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার’ মধ্যে কাজ করেন বলে দাবি মেয়র নাছিরের।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলমকে এক লাখ ৭০ হাজার ৫২৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন আ জ ম নাছির উদ্দিন। ৬ মে শপথ নিলেও বিদায়ী মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ না হওয়ায় চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেন ২৬ জুলাই।

এক বছরের ‘সাফল্যের’ খতিয়ান দিতে গিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসক নিয়োগ, যন্ত্রপাতি ক্রয় ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে।

“একটা জেনারেল হাসপাতাল করেছি। সেখানে ডেন্টাল ইউনিট হয়েছে। প্রতিবন্ধী কর্ণার করেছি। বার্ন ও চক্ষু ইউনিটও করা হবে।”

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে; বহদ্দারহাটে খাল খনন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

তবে গত অর্থ বছরে বরাদ্দ ‘পর্যাপ্ত ছিল না’ জানিয়ে মেয়র বলেন, “এবার হয়ত সুখবর পাব। তখন জমি অধিগ্রহণে হাত দেব। মাস্টার প্ল্যানে উল্লেখ আছে এমন আরও দুটি নতুন খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছি।”

মেয়র হিসেবে দ্বিতীয়বার বাজেট পেশ করতে যাওয়া নাছির বলেন, “গতানুগতিক বাজেট দিতে চাই না। জুলাইয়ে বাজেট দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও নেই। বাজেট দেব অগাস্টে। সব শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের জন্য সিসিসি যাতে কিছু করতে পারে সেই পরিকল্পনামত বাজেট দেব।”
লক্ষ্য পূরণের পথে কোনো বাধাই ‘প্রতিবন্ধকতা হতে পারবে না’ বলে আশা করছেন মেয়র নাছির।

“আমার অভিধানে ব্যর্থতা বলতে কোনো শব্দ নেই। যত বাধাই আসুক যে পরিকল্পনা আছে তা বাস্তবায়ন করবই।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top