হটনিউজ২৪বিডি.কম: নিমতলী ট্র্যাজেডির পাঁচ বছর পূর্ণ হলো বুধবার। দীর্ঘ এই পাঁচ বছরে দেশের মানুষ তাদের হাজারো স্মৃতির ভীড়ে ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডের কথা ভুলে গেলেও ভুলেনি আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া ১২৩ মানুষের স্বজনরা। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীর ৪৩, নবাব কাটরা ৫ তলা বাড়িতে সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৩ জন প্রাণ হারান। আপনজন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় কয়েকটি পরিবার। বাড়ির নীচে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগে বিস্ফোরিত হয়ে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ভয়াবহ আগুনে পরিবার পরিজন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় রুনা, রত্না ও শান্তা নামের তিনটি মেয়ে। সেই তিন কন্যার ‘মা’ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের নিজ হাতে বিয়ে দেন।
ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের দিনই ছিল রুনার বিয়ের ‘পানচিনি’ অনুষ্ঠানের। অগ্নিকাণ্ডের পর পরিবার পরিজন হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া উম্মে ফারোওয়া আক্তার রুনা, সাকিনা আক্তার রত্না ও আসমা আক্তার শান্তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুকে টেনে নেন। ঘোষণা দেন এই তিন মেয়ে তার নিজের সন্তান। এরপরই গণভবনে নিজে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী তার তিন মেয়ের বিয়ে দেন। তাদের প্রত্যেকের ঘরেই এসেছে নতুন অতিথি। চার নাতি-নাতনীর নানি হলেন শেখ হাসিনা। এদের একজনের নাম আলী মর্তুজা আযান, দ্বিতীয় জন শ্রদ্ধা, তৃতীয় রমাদান এবং চতুর্থ আদর। আলী মর্তুজা আযানের বয়স ২ দিন কম ৪ বছর। শ্রদ্ধার ২ বছর ৯ মাস এবং রমাদানের বয়স এক মাস কম চার বছর। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ নাতির জন্ম হয়। তার নাম আয়াত হোসেন আদর। চাঁনখার পুলের হোসনী দালান রোডের ১৮/১০, শিয়া গলির বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকেন প্রধানমন্ত্রীর বড় মেয়ে উম্মে ফারোওয়া আক্তার রুনা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।