সকল মেনু

‘বরাবরই টিআইবির প্রতিবেদন ভিত্তিহীন-মনগড়া’

tib1468506857 নিজস্ব প্রতিবেদক :  পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে মন্তব্য করেছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ের বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘এ অধিদপ্তরের কার্যপরিধি সম্পর্কে না জেনে আমাদের তথা বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকারকে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রয়াস চালিয়েছে টিআইবি।’
তিনি বলেন, ‘১১ জুলাই টিআইবির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রতিবেদনের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে টিআইবিকে জানানো হয়েছে। টিআইবির জরিপটি করা হয়েছে ১৫ হাজার পরিবার বা খানার ওপর।

তারা ৩ দশমিক ২ শতাংশ অর্থাৎ ৪৮০ জন পাসপোর্ট নিয়ে ভোগান্তির কথা বলেছেন। অথচ আমরা এ পর্যন্ত ১ কোটি ৪৫ লাখ পাসপোর্ট দিয়েছি। মাত্র ৪৮০ জনের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে একটি পুরো খাত বা বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা কতটা সমীচীন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, পাসপোর্ট তৈরির সঙ্গে পুলিশ ভেরিফিকেশন, ব্যাংকে ফি জমা দেওয়া, কাগজপত্র সত্যায়ন, জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহসহ অনেক বিষয় জড়িত। পাসপোর্ট অফিসের বাইরে যেসব বিষয় নিয়ে দুর্ভোগ বা ভোগান্তি তার দায় অধিদপ্তরের ওপর কোনোভাবেই বর্তায় না।

গত ২৯ জুন ‘সেবা খাতে দুর্নীতি : জাতীয় খানা জরিপ ২০১৫’ শিরোনামের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছে পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে। পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়াগুলোতে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে। এ সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে সেবা গ্রহণকারীদের ৭৬ শতাংশই বলেছেন, তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top