সকল মেনু

জাতীয় পার্টির এমপি হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত

hannan1468221535 নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগে ময়মনসিংহের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

সোমবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৪১তম এ তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক ও এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।

সংবাদ সন্মেলনে প্রধান সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির সাংসদ এম এ হান্নান ও তার পুত্র রফিক সাজ্জাদসহ আটজনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, আটক ও নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।’

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৩(১), ৪(১) ও ৪(২) ধারা অনুসারে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এর আগে গত বছরের ১ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ছেলেসহ জাতীয় পার্টির ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সাংসদ এম এ হান্নানকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এম এ হান্নানসহ এ মামলার পাঁচ আসামি কারাগারে আছেন।

অন্য চারজন হলেন- এম এ হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ (৬২), ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ (৬৪), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩) ও মো. হরমুজ আলী (৭৩)। এ ছাড়া পলাতক তিন আসামি হলেন- ফখরুজ্জামান (৬১), আব্দুস সাত্তার (৬৪) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩)।

সোমবারই এ তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবেন প্রসিকিউশন।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান গত বছরের ২৮ জুলাই থেকে সোমবার পর্যন্ত তদন্তকাজ সম্পন্ন করেন।

গত বছরের ১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওইদিনই ঢাকায় গ্রেপ্তার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে গ্রেপ্তার হন বাকি তিনজন।

গত বছরের ১৯ মে এমপি হান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন।

মামলায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আরো পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি হয়েছেন মোট আটজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top